ফরিদগঞ্জ:
ফরিদগঞ্জে ডাকাতিয়া নদীর উপর বহু প্রতীক্ষিত একটি ব্রিজের অভাবে উপজেলার গাজীপুর থেকে ধানুয়া হয়ে জেলা শহর চাঁদপুরে যাতায়াতকারী হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। দুই পাড়ের ২০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষের দুঃখের কারণ এটি।
উপজেলার মধ্য ভাগের গাজীপুর, পালতালুক, মানিকরাজ, উপাদিক, লোহাগড়, মদনেরগাঁও, বালিথুবা, মানিকরাজ, রাজাপুর, কড়ৈতলী, পাইকপাড়া, চরবসন্ত, ধানুয়া, টুবগী, বাগড়াবাজার ও প্রত্যাশী গ্রামের মানুষ ধানুয়া-গাজীপুর হয়ে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানের সাথে যোগাযোগের বিকল্প পথ হিসেবে এটি ব্যবহার করে আসছে। আন্তঃউপজেলার মধ্যে যোগাযোগের জন্যও এই পথ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। এই স্থানে ডাকাতিয়া নদীর ওপর ব্রিজ নির্মিত না হওয়ায় এপাড়-ওপাড়ের মানুষের নৌকাই একমাত্র ভরসা। এদিকে নৌকায় নদী পারাপার হতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে।
স্থানীয় গাজীপুর ও ধানুয়া এলাকার বাজারের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এখানে একটি ব্রিজ হলে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের আরো উন্নয়ন হতো। কারণ, নদী পথে এখন আর মালামাল আনা নেয়া করা সম্ভব নয়। এতে অনেক সময়েরও প্রয়োজন। তারা ক্ষোভের সাথে বলেন, সরকার আসে সরকার যায় কিন্তু আমাদের ভাগ্যের উন্নয়নে কেউ ব্রিজটি তৈরিতে এগিয়ে আসে না। বছরের পর বছর চলে গেলেও এই পথে চলাচলকারীদের দীর্ঘ দিনের এ দাবি পূরণ হয়নি।
ইউপি সদস্য ও পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি মাইন উদ্দিন জানান, ব্রিজটি নির্মাণের জন্য তারা বহু স্থানে চেষ্টা তদবির করেছেন। গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের বাসিন্দা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী তাহের সরকার জানান, ব্রিজটি নির্মিত হলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ছাড়াও আর্থ-সামজিক ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নতি হবে।
তিনি বলেন, এখন যদি ব্রিজটি নির্মাণ সম্ভব নাও হয়, তবে ফরিদগঞ্জ সদরের ডাকাতিয়া নদীর ওপর পাকা সেতুর চলমান নির্মাণ শেষে সেখানকার বেইলী ব্রিজটি আপাতত এখানে প্রতিস্থাপন করলে সঙ্কট কিছুটা নিরসন হতো।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মামুন খান জানান, সম্প্রতি ব্রিজের স্থানটি আমরা পরিদর্শন করেছি। প্রায় দেড়শ’ মিটার দৈর্ঘ্যের ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হবে।
সংসদ সদস্য লায়ন হারুনুর রশিদ জানান, ব্রিজটির গুরুত্ব অনুধাবন করে ইতিমধ্যে চলতি জাতীয় সংসদের অধিবেশেনে এই স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছি।