প্রতিনিধি
বেগম খালেদা জিয়ার সাজার প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার দুপুরে ফরিদগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিলের চেষ্টা করলেও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও পুলিশের প্রতিরোধের মুখে তা প- হয়ে যায়। মিছিলের চেষ্টাকালে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ উপজেলার মানুরী এলাকা থেকে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, বাসারা এলাকার বিএনপি নেতা নূর আলম, সন্তোষপুর এলাকার বিএনপি কর্মী সৈকত ও বিএনপি নেতা কামাল হোসেনকে ফরিদগঞ্জ বাজার থেকে আটক করেছে।
জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের বাসারা এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা একটি মিছিল বের করার চেষ্টা করলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাদের বাধা দেয়। তারা বিএনপি নেতা-কর্মীদের হাত থেকে ব্যানার ছিনিয়ে নেয়। তখন নূর আলম নামে এক বিএনপি কর্মীকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় আওয়ামী লীগ কর্মীরা।
এদিকে উপজেলার মানুরী এলাকায় মিছিল বের করার চেষ্টা করলে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ আলম জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেনকে আটক করেন। ফকিরবাজার এলাকায় উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ মিছিল করার জন্যে একত্রিত হলেও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা জমায়েত হতে শুরু করায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা সেখান থেকে সটকে পড়েন বলে গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকন আখন্দ জানিয়েছেন। ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিরবাজার এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করার চেষ্টা করলেও পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বাধার মুখে সে উদ্যোগ ভেস্তে যায়। এ সময় সৈকত নামে এক বিএনপি নেতাকে আটক করা হয়। আটককৃত সৈকত হাতকড়া পরা অবস্থায় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ তাকে দৌড়ে গিয়ে আটক করে।
হাইমচরে বিএনপির ৭৮ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুূর্নীতি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় এবং ৮টি ককটেল উদ্ধার ও পুলিশ কনস্টেবল ইমরানকে আহত করার ঘটনায় হাইমচরে বিএনপির ৭৮ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া ওই মামলায় আরও ২শ’ জনকে অজ্ঞাত আসামী দেখানো হয়েছে।
হাইমচর থানা সূত্রে জানা যায়, ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার হাইমচরে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় এক কনস্টেবল আহত হয় এবং ৮টি ককটেল উদ্ধার করে হাইমচর থানা পুলিশ। ওইদিনই উপজেলা বিএনপির সভাপতিসহ সহযোগী সংগঠনের ৫ জনকে আটক করা হয়। সংঘর্ষ এবং বিস্ফোরক উদ্ধারের পর পুলিশ বাদী হয়ে বিস্ফোরকদ্রব্য আইন ১৯০৮-এর ৪ (খ) ধারায় বিএনপির ৭৮ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এর সাথে ২শ’ জনকে অজ্ঞাত দেখানো হয়। মামলা নং : ১, তারিখ ০৮/০২/২০১৮ইং।