প্রতিনিধি==
মৃত মুক্তিযোদ্ধার ছেলের সাথে বাজারে বাগ্বিতণ্ডার সূত্র ধরে একদল চিহ্নিত সন্ত্রাসী ওই মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে গিয়ে বসতঘর ভাংচুর করে বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। তবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ অন্যরা আশ্বসত্দ করেছেন বিষয়টির সঠিক বিচার হবে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৫নং গুপ্টি ইউনিয়নের গল্লাক বাজার সংলগ্ন ডুমুরিয়া গ্রামের সওদাগর বাড়িতে।
জানা যায়, সওদাগর বাড়ির মৃত মুক্তিযোদ্ধা শেখমত আলী সওদাগরের ২ ছেলে মিজান ও তোফায়েল। এরা সকাল ১০টায় বাজারস্থ সেতুর উপর মাছ ধরা নিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়ে পার্শ্ববর্তী শ্রীকালিয়া গ্রামের আনিছ, মিস্টার ও জামানের সাথে। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে এই ২ ভাই বুঝতে পারে তাদের উপর আক্রমণ করা হবে। এর পর পর তারা ঐ স্থান ত্যাগ করে প্রায় ১শ’ গজ পশ্চিমে তাদের নিজ বাড়িতে চলে যায়। এর কিছু পরেই আনিছ, মিস্টার ও জামানসহ ১০-১৫জন ব্যক্তি তাদের বসতঘরে হামলা করে। তারা ঘরে ঢুকে ঘরে থাকা টিভি, সোকেসসহ সকল আসবাবপত্র ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় ঐ চক্রটি নারীদের শরীর থেকে স্বর্ণালঙ্কার লুট করে। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রসত্দ পরিবারকে বিচারের বিষয়ে আশ্বসত্দ করেছেন।
এ বিষয়ে ৰতিগ্রসত্দ মিজানের স্ত্রী রিমা জানান তারা ঘরে ঢুকে ফিল্মি স্টাইলে আমাদের সকল মালামাল ভাংচুর শুরু করে ও সোকেসের ড্রয়ারটি খুলে নিয়ে যায়। ঐ ড্রয়ারে আমাদের নগদ টাকা ও কিছু স্বর্ণ ছিলো।
মৃত শেখ বেলায়েতের ভাতিজা বিপ্লব জানান, আনিছ, মিস্টার ও জামানসহ ১০-১৫জনের একটি গ্রুপ ঘরে ঢুকে তাণ্ডব চালায়, যা আমি নিজ চোখে প্রত্যক্ষ করেছি। এ সময় তারা এ পরিবারের ৮১ বছর বয়স্ক ছালেহা খাতুনকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান পাটওয়ারী জানান, ৰতিগ্রসত্দ পরিবার থেকে আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আসছে শনিবার উভয় পৰকে নিয়ে বসে সিদ্ধানত্দ নেয়া হবে।