ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৫নং গুপ্টি ইউনিয়নের আস্টা বাজারের রবীন্দ্র চন্দ্র দের কসমেটিক দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার আস্টা বাজার গেলে দেখা যায়, কে বা কারা ভূমি অফিস লাগোয়া পূর্ব পাশে রবীন্দ্র চন্দ্র দের কসমেটিক দোকান ভাংচুর করে মালামাল এলোপাতাড়ি ফেলে রাখে। এছাড়া দোকানের পাশে দিঘিতেও কিছু মালামাল পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এলাকার মঞ্জুর আহম্মেদ (বাবুল), ডাঃ প্রদীপ, তোফায়েল আহম্মেদসহ আরো কজন জানান, দোকান মালিক রবীন্দ্র চন্দ্র দে অত্যন্ত নিরীহ প্রকৃতির মানুষ, তার পিতা নারায়ণ চন্দ্র দে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে অনুয়া স্মৃতি স্তম্ভে তার পিতার নামটি লিপিবদ্ধ আছে। যার নং-৪৫। আমাদের ক্ষোভ কোন্ দুষ্কৃতকারী এই শহীদ মুক্তিযোদ্ধার ছেলের এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে, তা আমরা প্রশাসনের মাধ্যমে তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু সমাধান চাই। এ সময় বাজারের নৈশপ্রহরী অরুণ চন্দ্র দে জানান, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১২টায় আমি টয়লেটে যাই। টয়লেট থেকে বের হয়ে লাইট মারার সাথে সাথেই দেখি ১৫ থেকে ২০ জনের একটি মুখোশ পরা সন্ত্রাসী গ্রুপ দাঁড়িয়ে আছে। পরক্ষণেই তারা দৌড়ে এসে আমাকে দা দিয়ে আঘাত করতে চায়। তাদের দলেরই অন্য কজন আমাকে আঘাত করতে দেয়নি। পরে তারা চলে যায়। মুখোশ পরা ছিল বিধায় আমি তাদেরকে চিনতে পারিনি। নৈশ প্রহরী অরুণ চন্দ্র দে আরো জানান, রাত পৌনে ১২টার দিকে এলাকার বিল্লাল ও মনির ইব্রাহিমের দোকানে কথাবার্তা বলে হঠাৎ কোথায় যেনো উধাও হয়ে যায়। এর পরপরই ঘটনাটি ঘটে। বাজার কমিটির সভাপতি জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। ঘটনাটির সাথে আওয়ামী লীগ, বিএনপি অথবা জামায়াত যেই জড়িত থাকুক প্রশাসনিকভাবে তদন্ত সাপেক্ষে এর সুষ্ঠু বিচার চাই। দোকান মালিক রবীন্দ্র চন্দ্র দে অত্যান্ত আবেগ আপ্লুতভাবে জানান, আমি কোনো মতে এ দোকানদারী করে ছেলে-মেয়ে ও মাকে নিয়ে সংসার চালাতাম। কিন্তু কে বা কারা আমার এ ক্ষতি করেছে প্রশাসনের মাধ্যমে আমি এর বিচার চাই। উল্লেখ্য উক্ত কসমেটিক দোকানে নগদ ৯৯৫ টাকাসহ দুই লক্ষাধিক টাকার মালামাল ছিল।