শিমুল হাছান:
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের বড়গাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী মেহেরুননেছা প্রীতি (২০) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ তুলে অভিযুক্তদের সনাক্ত করে বিচারের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন ঐ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র- ছাত্রী, শিক্ষক ও এলাকাবাসী।
২৯ জুন (সোমবার) বড়গাঁও উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে নিহতের স্বজন ও ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক এবং বিভিন্ন শ্রেনী পেশার পাঁচ শতাধিক লোকের উপস্থিতিতে সকাল ১০টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। গৃহবধূ মেহেরুননেছা প্রীতি উপজেলার গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের হোগলী গ্রামের সজিব হোসেন এর স্ত্রী। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নিহতের চাচা আবুল কাশেম, বড়গাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র শামীম হোসাইন, আব্দুল মোতালেব, প্রীতির সহপাঠী, গল্লাক ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী মারিয়া ভূঁইয়া। ওই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম, বড়গাঁও উচ্চ বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য আশরাফ খান আশু, বড়গাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের সহ- শিক্ষক আমির হোসেন চৌধুরী মানববন্ধনে অংশ নেয়।
মানববন্ধনে নিহত প্রীতির চাচা আবুল কাশেম বলেন, ১ বছর ২ মাস আগে হোগলী গ্রামের মৃত বাবলু পাটওয়ারীর ছেলে সজিব হোসেন সাথে প্রীতির বিয়ে হয়। সজিব মাদকাসক্ত ছিল, সে প্রায়ই কারনে অকারণে প্রীতিকে মারধর করতো। প্রীতি হত্যার আগের দিন (বৃহস্পতিবার) রাতে প্রীতির বোনের জন্মদিনে যাওয়া নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরের দিন শুক্রবার সকালে তাকে ব্যাপক মারধর করে এবং তাকে হত্যা করে। পরে তা আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়। তিনি আরো বলেন, হত্যার খবর পেয়ে আমরা ঐ বাড়িতে গিয়ে দেখি তারা তড়িঘড়ি করছে লাশ থানায় পাঠানোর ব্যবস্থা করছে। আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করার চেষ্টা করলেও পুলিশ হত্যা মামলা না করে অপমৃত্যুর মামলা রুজু করে।
উল্লেখ্যঃ গত শুক্রবার সকালে থানা পুলিশ হোগলী গ্রামের স্বামী সজিব হোসেনের ঘর থেকে প্রীতির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ঐদিন থানায় এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ শহীদ হোসেন বলেন, মানববন্ধনের বিষয়ে কিছু জানা নেই। তবে গত শুক্রবার মেহেরুননেছা প্রীতি নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছিল। ওই ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।