শওকতআলী॥: চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ছেলে কুপিয়ে হত্যা করেছে বৃদ্বা মাকে ও শ্বাসরোধ করে দুরবৃত্তরা হত্যা করেছে বৃদ্ধাসহ ২জন হত্যা করেছে। এ ঘটনায় চাঁদপুরের পুলিশ সুপার শামছুন্নাহার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে, বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় পৌর এলাকার পশ্চিম বড়ালি গ্রামে ও অপর ঘটনাটি প্রকাশ পায়,রাত সাড়ে ৭টায় উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের পাটওয়ারী বাড়িতে। এ ঘটনায় পুলিশ ঘাতক ছেলে মিলন কে আটক করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফরিদগঞ্জে হায়াতুননেছা (৫৮) নামে এক বৃদ্ধাকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনা ঘটে, বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় পৌর এলাকার পশ্চিম বড়ালি গ্রামে। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে।
নিহতের ভাই আ: হাকিম জানান, তার বোন নি:সন্তান । তার স্বামীর বাড়ি গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের চির্কা গ্রামে। স্বামী মারা যাওয়ার তাদের কাছেই দীর্ঘদিন থেকে থাকে সে। ঢাকার পশ্চিম বড়ালি নোয়া বাড়িতে বসবাসকৃত তার ভাই আ: হালিমের বাড়িতে গত তিন/চার মাস ধরে নতুন বাড়িতে একাই সে বসবাস করে ।
ধারনা করা হচ্ছে , দুর্বৃত্তরা নিরব বাড়ি পেয়ে একতলা ভবনের বাড়ির পিছনের দরজা দিয়ে ঢুকে তাকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে, নিহত হায়াতুননেছার কান ও গলায় থাকা স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় বলে তা ভাইয়ের দাবী।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মো: শাহআলম জানান, নিহত নারী বাড়িতে একাই থাকেন। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার করা হয়েছে বলে , প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে।
অপর দিকে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে মিলন (৩০) নামে এক ছেলে মা ফিরোজা বেগমকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। স্থানীয় জনতা ঘটনা টের পেয়ে ঘাতক ছেলেকে আটক করে বৃহস্পতিবার রাত সারে ৭টায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে বলে পুলিশ জানান। ঘটনাটি উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের পাটওয়ারী বাড়িতে ঘটে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে।
রূপসা উত্তর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম জানান, গ্রামের মৃত আব্দুল আলীর স্ত্রী ফিরোজা বেগম (৬০) পৃথক একটি বাড়িতে বসবাস করতেন। তার দুই ছেলের মধ্যে বড়ছেলে মিলন (৩৫) জন্মের পর থেকেই মানসিক প্রতিবন্ধী। তবে মিলন মায়ের সাথেই থাকেন। ছোট ছেলে আলমগীর হোসেন বিয়ে করে অন্যত্র বসবাস করেন।
এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ফারুকী জানান, লাশের কাছে যাওয়া যাচ্ছে না দুর্গন্ধের কারণে। ধারনা করা হচ্ছে ,ঘাতক মিলন তার মাকে দুই একদিন পুর্বে কুপিয়ে হত্যা করে ঘরেই ফেলে রাখে।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর মিলন বাড়ির অদুরে একটি চায়ের দোকানে সিগারেট কিনতে আসলে স্থানীয় লোকজন তার গায়ে রক্ত দেখে সন্দেহ হয়। পরে কিছু লোকজন তার বাড়ি গিয়ে তার বৃদ্ধা মা ক্ষত বিক্ষত লাশ ঘরের চৌকির উপর পড়ে থাকতে দেখে। এছাড়া তার মায়ের হাতের একটি কবজি ভাতের পাতিলে পানিতে ভেজানো দেখতে পায়। স্থানীয় ইব্রাহিম নামের একজন জানায়, মিলন একজন মানসিক সমস্যা থাককে পারে। সে কিছু দিন ভাল থাকে আবার কিছু দিন ভিন্ন রকম আচরণ করে। কয়েক বছর পুর্বে তার মাকে আরো একবার জবাই করে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে তাকে আটক করে পুলিশ। পরে সে ৬ মাস জেলে থাকার পর বেরিয়ে আসে।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি(তদন্ত) রাজীব কুমার দাশ, মাকে হত্যার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে ছেলে মিলনকে আটক করেছে। শুক্রবার ময়না তদন্তের জন্য লাশ চাঁদপুর পাঠানো হবে।