ফরিদগঞ্জে ডাকাতিয়া নদীর পানি নিষ্কাশন না করার ফলে চলতি বছর আমনের চারা রোপন নিয়ে ফরিদগঞ্জের হাজার কৃষক বিপাকে পড়ছেন বলে অভিযেগ পাওয়া গেছে। বাগাদী পাম্প হাউস বেড়িবাঁধ এলাকার মধ্যে যেসব চরগুলো সামান্য বৃষ্টি হলে এসব চরগুলো ডুবে যায়, সেসব চরগুলো হলো- চর মটকির চর, পালতা লুকের চর, চান্দ্রার চর, লোহাগড়ের চর, সেকদীর চর, রাজাপুরের চর, ধানুয়ার চর, চরগুদাড়ার চর, গাজীপুরের চর, ভাটিয়ালপুরের চর, চরসাখুয়া, চরদুখিয়া, হলয়া চরসহ অন্যান্য চরগুলোর কৃষকরা এখনও আমন চারা রোপন করতে না পেলে ফরিদগঞ্জের হাজারও কৃষক এখন অসহায় জীবন যাপন করছে। জেলা কৃষি অফিস থেকে জানা গেছে, চলতি বছরে ফরিদগঞ্জে ৮,৫২৫ হেক্টর জমির আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলে সেখানে আবাদ হচ্ছে ৪৯৩০ হেক্টর জমি তার মধ্য উফসী ৪৯০ হেক্টর এবং স্থানীয় ৩০ হেক্টর জমি চাষাবাদ করা হয়েছে। যা তুলনায় দ্বিগুন এর চেয়ে কম। আর এই চাষাবাদ ব্যাঘাত ঘটার একটাই কারণ হচ্ছে ডাকাতিয়া নদীর পানি সময় মতো নিষ্কাশন না করায়। আর এসব কারণে ফরিদগঞ্জের হাজার কৃষক এখন চরবাগাদী পাম্প হাউস এর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন ফরিদগঞ্জের লোহাগড়ের এক কৃষক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমন চারা রোপন করার সময় চলে যাইতেছে, অথচ একটু জমিতে চারা রোপন করতে পারিনি। রাজাপুরের চরের এক কৃষক বলেন, অনেক কষ্ট করে দেনা করে আমন চারা রোপন করেছি কিন্তু তাতে পানি থাকায় রোপন করতে পারছি না। ধানুয়ার এক পাওয়ার টিলারের মালিক বলেন, অন্যান্য বছরে আমি হাল চাষ দিয়ে ৩ লক্ষ থেকে চার লক্ষ টাকা আয় করি কিন্তু এবার জমিতে চাষ করতে পারিনি একটুও। জমিতে মেশিন নিয়ে গেলে মেশিন পানির নিচে ডুবে যায়, আর এর একটাই কারন নদীতে পানি নিষ্কাষন না করাতে কৃষকরা সহ আমরা বিপাকে আছি। পানি নিষ্কাশন না করার একটাই কারন সেটি হচ্ছে ফরিদগঞ্জ ডোবা চরে যেসব মৎস্য ব্যবসায়ীরা মাছ চাষ করে তারা তাদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য পানি বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে স্বল্প লোভ দেখিয়ে শুকনো মৌসুমে নদীতে পানি ভরাট করে। যার ফলে বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টি হলে নদীবর্তী এলাকা সহ এসব চরগুলো মুহুর্তের মধ্যে তলীয়ে যায়। এখন কৃষকরা বলেছেন, এখনও যদি ডাকাতিয়া নদীতে পানি নিষ্কাশন করা হয় তাহলে হয়তো কিছু জমিতে আমন চারা রোপন করতে পারবে। পানি নিষ্কাশন ব্যাপারে চরবাগাদী পাম্প হাউসের কর্মকর্তার সাথে আলাপকালে জানায়, নদীতে পানি এমনিতেই বেশি। তাছাড়া বৃষ্টির কারণে পানি টানলেও কমছে না। ডাকাতিয়া নদীর পানি যদি এখন নিষ্কাশন না করা হয় তাহলে হয়তো কৃষকরা আমন চারা রোপন করতে পারবে না। আর না পারলে উন্নত বীজ সংগ্রহ ও বাম্পার ফসল ফলানোর আগ্রহ কৃষকরা হারিয়ে ফেলে। কৃষকদের সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে ফসল ফলানোর ব্যবস্থা করে দিবে সে ব্যাপারে মাননীয় কৃষি মন্ত্রী ও পানিমন্ত্রীর জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ফরিদগঞ্জের হাজারে কৃষক।
শিরোনাম:
- হোম
- /
- চাঁদপুর সদর
- /
- ফরিদগঞ্জ
- /
- ফরিদগঞ্জে ডাকাতিয়া নদীর পানি নিষ্কাশন না করায় আমনের চারা রোপন নিয়ে কৃষকরা বিপাকে
আরও সংবাদ
বিশ্ব ইজতেমায় ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ মালয়েশিয়ান ইবিট লিও
টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেন, মালয়েশিয়ার ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ ইবিট লিও। বিশ্ব... বিস্তারিত
পেঁয়াজের দাম বাড়ল কেজিতে ২০-৩০ টাকা
দেশে আগাম জাতের মুড়িকাটা পেঁয়াজ এরই মধ্যে ঘরে তুলেছেন কৃষক। মূল মৌসুমের পেঁয়াজ বাজারে আসতে... বিস্তারিত
রমজান মাসে প্রাথমিকে ক্লাশ ১০ দিন, মাধ্যমিকে ১৫…
আগামী রমজান মাসের প্রথম ১০ দিন দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খোলা রাখার সিদ্ধান্ত... বিস্তারিত
পরকীয়ায় নাশ সংসার
দেশে বিয়ের হার বৃদ্ধির পাশাপাশি বিবাহবিচ্ছেদ বা তালাকও বেড়েছে। বিবাহবিচ্ছেদের প্রধান দুটি... বিস্তারিত
ফরিদগঞ্জে কুকুর বাঁচাতে গিয়ে মারা গেলেন অটোচালক
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে কুকুরকে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের দেয়ালে ধাক্কা লেগে... বিস্তারিত
ফরিদগঞ্জে আগুনে পুড়ে ছাই আসবাবপত্র সহ একটি বসত…
মোঃ মুজাম্মেল হোসেন মল্লিক ( ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর) চাঁদপুরেরর ফরিদগঞ্জের পূর্ব ভাওয়াল ছার বাড়িতে... বিস্তারিত
ফরিদগঞ্জের রাস্তার বেহাল দশা, দেখার কেউ নেই,
মোঃ মুজাম্মেল হোসেন মল্লিক চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের... বিস্তারিত
ফরিদগঞ্জে শাপলা দোয়েল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট ভবনের ভিত্তির প্রস্তর…
মোঃ মুজাম্মেল হোসেন মল্লিক চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে শাপলা দোয়েল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট ভবনের... বিস্তারিত
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।