মিজান লিটন
শুক্রবার বিকালে বিএনপি জামাত ও পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষে অন্তত ৩ জন নিহতের ঘটনায় উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের ডাকে শনিবার সকাল থেকে হরতাল পালিত হয়েছে। হরতালের কারণে এবং আবারো সংঘর্ষের আশঙ্কায় ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় সকল দোকানপাট বন্ধ ছিল। স্থানীয় ও দূরপাল্লার রূটে কোন যানবাহন চলাচল করেনি। মাঝে মাঝে কিছু সিএনজি স্কুটার চলাচল করেছে। এদিকে শুক্রবার বিকেলে সংঘর্ষের ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার, খুনের ঘটনায় এবং পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় বাদী হয়ে পৃথক পৃথক বিএনপি জামাতের ৮৮জনকে আসামী করে প্রায় আড়াই হাজার লোককে আসামী করে ৪টি মামলা দায়ের করেছে।
এই ঘটনায় পুলিশ শনিবার দুপুর পর্যন্ত ৭জনকে আটক করেছে। এরা হলোঃ শাহীনুর ইসলাম (১৮), সজীব (১৯), রুবেল (১৮), হাসান (১৯), আল আমিন (১৮), সিরাজ (১৮), আঃ রহমান (২০)। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শনিবার সকাল থেকেই ৩ প্লাটুন র্যাব, ২প্লাটুন বিজিবি এবং পুলিশী টহল অব্যাহত রয়েছে। শহর জুড়ে আতঙ্ক রয়েছে।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি নাজমুল হক সাংবাদিকদের জানান, পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুরো উপজেলায় পর্যাপ্ত র্যাব, বিজিবি এবং পুলিশ ফোর্স মোতায়েন রয়েছে। ৪টি মামলা দায়ের হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকালে ফরিদগঞ্জ শহরে বিএনপি জামাতের সাথে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ত্রিমুখী সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিকসহ প্রায় শতাধিক লোক আহত এবং অন্তত ১০জন গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিতে নিহতরা হলো বারপাইকা গ্রামের যুবদল নেতা আরিফ (২৩), পাইকপাড়া ইউনিয়নের ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি জাঙ্গাগীর (৩২) এবং দক্ষিণ বদরপুর গ্রামের গ্রামের যুবদল নেতা বাবুল হোসেন (৪০)।
শিরোনাম:
মঙ্গলবার , ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।