ফরিদগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে দুই যুবককে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হচ্ছেন : সিরাজুল ইসলাম ও বিল্লাল হোসেন। বৃহস্পতিবার সকালে ফরিদগঞ্জের বাসারা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনা সম্পর্কে পুলিশ বলেছে, ক্ষমতাসীন দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে দুই পক্ষের মধ্যে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, সকালে বাসারা বাজারে নাস্তা খেতে বাড়ি থেকে বের হন গাড়িচালক সিরাজুল ইসলাম (৩৫) ও বিল্লাল হোসেন (৩২)। এ সময় বাজারের পাশে নমশুদ্র বাড়ির কাছে আসামাত্র পূর্ব থেকে অবস্থান নেওয়া প্রতিপক্ষরা লোহার পাইপ ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে এই দুইজনের উপর হামলা চালায়। এতে লোহার রড দিয়ে সিরাজ ও বিল্লালের হাত পা ভেঙ্গে দেয় হামলাকারীরা। এছাড়া ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে দ্রুত গা ঢাকা দেয় হামলাকারীর দল। ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে রক্তাক্ত অবস্থায় সিরাজ ও বিল্লালকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে জরুরি বিভাগে চিকিৎসার পর তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুজাউদ্দৌলা রুবেল জানান, আহতদের শরীরে গুরুতর আঘাত রয়েছে।
আহত সিরাজুল ইসলামের ছোটভাই আনোয়ার হোসেন অভিযোগ করেন, বাসারা গ্রামের চিহ্নিত সন্ত্রাসী রফিক মজুমদার, শহীদ উল্লাহ, রহমত উল্লাহ, আব্বাস উদ্দিন এবং তাদের সহযোগীরা তার ভাই ও বিল্লাল হোসেনের উপর হামলা করে। এ সময় হামলাকারীরা লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা গেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রফিক মজুমদার এক সময় জাতীয় পার্টি, পরে দল পরিবর্তন করে জামায়াত ও বিএনপি এবং বর্তমানে আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয় দিয়ে বেড়ায়। এমন পরিস্থিতিতে বাসারা এলাকায় একটি সন্ত্রাসী দল গড়ে তোলে। এই নিয়ে এলাকায় পুরানো আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে রফিক মজুমদারের বিরোধ চলছে। তবে কিছুদিন আগেও এই দুইজন রফিক মজুমদারের পক্ষে ছিল। পরে তারা ভুল বুঝতে পেরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। এতে প্রতিপক্ষ ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের উপর এমন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটায়। আহত বিল্লালের ভাই সুমন জানান, তার ভাই এবং সিরাজ রফিক মজুমদারের সন্ত্রাসী আচরণ ও নানা অনিয়মের প্রতিবাদ করায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এই বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রকিব জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। তা শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে পেঁৗছে দুই পক্ষকে শান্ত করেছে। তবে এই ঘটনায় থানায় কেউ মামলা দেয়নি।