প্রতিনিধি : ফরিদগঞ্জ উপজেলার মুন্সীরহাট এলাকার দুই সহদোরকে বিক্রি করলেন মা। ৬ মাস পর বুধবার সন্ধ্যায় বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে এক সন্তান উদ্ধার করেছে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদগঞ্জ উপজেলার মুন্সীরহাট এলাকার দিঘলধী হজি বাড়ীতে। ওই বাড়ীর রফিকুল ইসলাম প্রধানীয়ার (৫২) স্ত্রী মুক্তা বেগম (২৫) তাদের দাম্পত্যময় জীবনের মাহিদ (৬) ও নাহিদ (২)কে নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করেন।
ঘটনার বিবরণীতে জানা গেছে, ৬ মাস আগে মা-বাবা বিরোধে দুই সন্তান হারান তাদের আপনজনদের। স্বামী-স্ত্রীর বয়সের তারতম্য নিয়েই মাঝে মাঝে হট্টোগোল বাঁধে। মা মুক্তা বেগম বড় সন্তান মাহিদকে ৪ হাজার টাকায় কচুয়া উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের তাজুল মেম্বারের বাড়ীর বিল্লাল মিয়ার স্ত্রীর কাছে আর ছোট ছেলে নাহিদ কে বিক্রি করেন হাজীগঞ্জ উপজেলার ফুলছোয়া গ্রামের গাজী বাড়ীর সেলিমের স্ত্রী রিনা আক্তারের কাছে ২ হাজার ৫’শ টাকায়। দুই সন্তান ৫০ টাকা স্টাম্পের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়।
স্ত্রী ও সন্তানের খোঁজে ব্যাকুল হয় পঞ্চাশ উর্ধ্বো বয়সী রফিকুল ইসলাম। সন্তানদের খোঁজ পেয়ে পুলিশ সুপার আমির জাফরের নিকট স্বরণাপন্ন হন রফিকুল ইসলাম। পরে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ ছোট সন্তান নাহিদকে উদ্ধার করে।
রফিকুল ইসলাম প্রধানীয়া জানান, আমার অজান্তে দুই সন্তানকে বিক্রি করে চম্পট মারে স্ত্রী। বহু খোজাখুঁজির পর সন্ধান মিললে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করি।
হাজীগঞ্জ থানার এসআই মান্নান জানান, রফিকুল ইসলামের অভিযোগের ভিত্তিতে স্ত্রী মুক্তা বেগমকে চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী থেকে আটক করা হয়। পরে স্বামী-স্ত্রীকে নিয়ে শিশু নাহিদকে উদ্ধার করা হয়। ৬ মাস পর নিখোঁজ শিশুকে তাঁর বাবার কোলে তুলে দেয় পুলিশ।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.শাহ আলম ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ সুপার আমির জাফর জানান, বড় শিশু মাহিদকেও শীঘ্রই উদ্ধার করা হবে।
শিরোনাম:
শুক্রবার , ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২৫ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।