চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর তার বিচারের পরিবর্তে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে ধর্ষিতার পরিবারটি। মঙ্গলবার বিকেলে ভাড়া বাসা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে ওই পরিবারটি। অপরদিকে পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে উল্টো ধর্ষিতার পরিবার থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র। এমনকি সাদা কাগজে উভয় পক্ষের স্বাক্ষরও নিয়েছে তারা। এঘটনায় এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার ১০নং গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ধর্ষিতার মা জানান, ‘তাঁর স্বামী মারা যাওয়ার পর তার বাবার বাড়ির পাশে উপজেলার ১০নং গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের গোয়ালভাওড় বাজারের পাশের একটি বাড়িতে ৩ ছেলে ও ৩ মেয়েকে নিয়ে বাসা ভাড়া করে বসবাস করেন। গত ২০ আগস্ট রোববার পার্শ্ববর্তী খাঁ বাড়ির রহমান খানের ছেলে রিয়াদ তার মেয়ে সামিয়া (১৪) (ছদ্মনাম)কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রাতের অন্ধকারে নির্জন স্থানে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। আমিসহ পরিবারের লোকজন তাকে এরপর স্থানীয় এমদাদ পাটওয়ারী, মফু পাটওয়ারী, মনির পাটওয়ারীসহ লোকজন আমার বাসায় এসে আমার মেয়ে ও ধর্ষক রিয়াদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।’
তিনি আরো জানান, এক পর্যায়ে স্থানীয় কথিত সালিশগণ ছেলে-মেয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক বিধায় উভয়কে তাদের অভিভাবকদের কাছে চলে যেতে বলে এবং বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানোর কথা বলে। ধর্ষিতার পরিবারের কাছে পুলিশকে খুশি করার জন্য ১০ হাজার টাকা দাবি করে। উপায়ান্তর না পেয়ে তাদেরকে ধারকর্জ করে ৩ হাজার টাকা তুলে দেন তিনি। এদিকে ধর্ষণের ঘটনা জানা জানির পর কিশোরীটির পরিবারকে বাড়িওয়ালা দুই দিনের মধ্যে বাসা ছেড়ে দিতে আল্টিমেটাম দেয়। ফলে বাধ্য হয়ে তিনি তার সন্তানসহ মঙ্গলবার বিকেলে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে বাসা ও এলাকা ছেড়ে চলে দিতে বাধ্য হন।
এ ব্যাপারে ১০নং গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আঃ হান্নান জানান, তিনি এ ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না। একই কথা জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিন গাজী।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি শাহ্ আলম জানান, তিনি ঘটনা সর্ম্পকে জানেন না। সংবাদকর্মীদের কাছ থেকে শুনে তিনি তাৎক্ষণিক ওই পরিবারটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসার ব্যবস্থা করছেন।