মিজানুর রহমান রানা
চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলায় নকল জর্দ্দার কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। অভিযান চালিয়ে নকল জর্দ্দা কারখানার সন্ধান লাভ করেছে। বিপুল পরিমাণ জর্দ্দা তৈরীর উপকরণ ও মেশিন উদ্ধার করেছে। ঘটনার সাথে জাড়িত থাকার দায়ে ১ নারীকে আটক করা হয়েছে।
গত ১২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে চাঁদপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) উপ-পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম ফরিদগঞ্জ উপজেলার শ্রীকালিয়া গ্রামের ঘোষ বাড়িতে কাউছ ক্যামিকেলের হাকিমপুরী জর্দ্দা, মানিক জর্দ্দা, বাবা জর্দ্দা, পান পরাগ তৈরি করে এই সব কোঃ লেবেল ব্যবহার করে দীর্ঘ দিন ধরে দিলীপ চন্দ্র ঘোষ (৪০), তার স্ত্রী দিপালী রাণী ঘোষ (৩০), তাদের ছেলে মানিক (২২) দীর্ঘ দিন ধরে তারা এইসব কোঃ নকল জর্দ্দা বাজার জাত করে আসছিল। কাউচ ক্যামিকেলের হাকিম জর্দ্দা ম্যানেজার ওমর ফারুক ফরিদগঞ্জ, রামগঞ্জ, নোয়াখালি ওই অঞ্চলে হাকিমপুরী জর্দ্দা বাজারজাত করতে গেলে এই নকল জর্দ্দার বাজারে সয়লাভ দেখতে পান। পরে তিনি এই নকল জর্দ্দার সন্ধান করতে থাকেন। পরবর্তীতে ওমর ফারুক বিষয়টি চাঁদপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেন। তারই সূত্রধরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম সঙ্গীয় ও সদস্যদের নিয়ে ওমর ফারুকের সহায়তায় শ্রীকালিয়া গ্রামের ঘোষ বাড়িতে অভিযান চালান। এসময় দিলিপ ঘোষের ঘর থেকে বাজারজাতের জন্য তৈরি করা কাউছ ক্যামিকেলের চেয়ারম্যান কাউছ মিয়ার ছবি সম্বলিত হাকিমপুরী জর্দ্দা, মানিক জর্দ্দা, বাবা জর্দ্দা, পান পরাগসহ অন্যান্য জর্দ্দা কোম্পানীর লেভেল, একটি মেশিন, জর্দ্দা তৈরির বিভিন্ন ক্যমিকেল ও একটি বড় বস্তা ভর্তি জর্দ্দা তৈরির তামাক উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত মালামালের মূল্য প্রায় ১ লাখ টাকা। নকল জর্দ্দা তৈরির সাথে জড়িত থাকার দায়ে দিপালী রাণী ঘোষকে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করেছে। অভিযানের খবর জানতে পেরে বাড়ি থেকে আটক দিপালী রাণীর স্বামী দিলিপ চন্দ্র ঘোষ ও ছেলে মানিক চন্দ্র ঘোষ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে নকল পণ্য তৈরির দায়ে গোয়েন্দা পুলিশ এই ৩জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে।
শিরোনাম:
বুধবার , ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৭ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।