ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি:ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৭নং পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামে মুদি দোকানের বাকী টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, দোকান থেকে অর্থ লুটপাট ও জোরপূর্বক দোকানে তালা ঝুঁলিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানা ও আদালতে পৃথক মামলা দায়ের করেছে উভয় পক্ষ। এনিয়ে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অপরদিকে ঘটনার পর ১১ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো তালাবদ্ধ রয়েছে আবুল কাসেম নামের ওই অসহায় ব্যবসায়ীর মুদি দোকান।
এসর্ম্পকে আবুল কাসেম এ প্রতিনিধিকে বলেন, মোহাম্মদ উল্ল্যা গং জোরপূর্বক আমার দোকানে তালা মেরে দেওয়ার পর গত ১১ দিন যাবৎ আমি দোকান খুলতে পারি নাই। দোকানের ভিতরে ডিম, আটা, মুড়ি, চিনি, চাল, ডাল, তৈল, বিস্কুটসহ বিভিন্ন পণ্য পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া মোহাম্মদ উল্ল্যা আমার দোকানে জোর পূর্বক তালা মেরে ইউপি মেম্বার মো. শাহ আলমের নামে কুৎসা রটনা করছে। এখন প্রতিপক্ষের লোকজন আমাকে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এছাড়া আমি ব্যবসায়িকভাবে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছি।
এসর্ম্পকে ইউপি সদস্য মো. শাহ আলম বলেন, মোহাম্মদ উল্ল্যা রাত সোয়া ৮টার দিকে আবুল কাসেমের দোকানে তালা মেরে আমাকে ফোন দেয়। পরে আমার অনুপস্থিতিতে আমার ছেলের কাছে চাবি দিয়ে যায়। পুলিশের তদন্তে মোহাম্মদ উল্ল্যা নিজে দোকানে তালা দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে।
অপরদিকে মঙ্গলবার বিকালে ফরিদগঞ্জ থানার এস আই মো. মোবারক হোসেন সরেজমিনে গিয়ে ঘটনাস্থলে দোকান তালাবদ্ধ অবস্থায় দেথতে পায় বলে জানান এ প্রতিনিধিকে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, মেম্বারকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, মোহাম্মদ উল্ল্যা নিজে দোকানে তালা মেরে চাবি তার ছেলের কাছে দিয়ে যায়।
এদিকে মোহাম্মদ উল্ল্যার কাছে এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবী করেন। এবং তিনিও আবুল কাসেম গংদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বলে জানান।
শিরোনাম:
শুক্রবার , ৪ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ১৯ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।