আতাউর রহমান সোহাগঃ
ফরিদগঞ্জে শখের বসত কবুতর পালন শুরু করে এখন একজন সফল খামারী হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চলেছেন পৌরসভাধীন চরকুমিরা গ্রামের হাজী মাকুসুদুল বাসার (বাঁধন) নামে এক যুবক। তার খামারে শোভা পাচ্ছে বিদেশী উন্নত জাতের ৪‘শতাধিক কবুতর। এসব কবুতরের জোড়া প্রতি শ্রেনীবেদে দাম ৫ থেকে ৪৫’হাজার টাকা। বর্তমানে সৌখিন ক্রেতারা আড়াই থেকে তিন মাস বয়সের প্রতি জোড়া বাচ্চা শ্রেনীবেদে ২ থেকে ১০ হাজার টাকায় কিনে নিচ্ছেন বাঁধনের খামার থেকে।
সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, ফরিদগঞ্জ পৌরসভাধীন চরকুমিরা গ্রামের সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাহবুবুল বাসার কালু পাটওয়ারী ছেলে হাজী মাকুসুদুল বাসার (বাঁধন) তার নিজ বাড়িতে বিদেশী উন্নত জাতের ১০ টি প্রজাতির কবুতর নিয়ে এক বছর আগে বানিজ্যিক বিত্তিতে কবুতর পালন শুরু করনে। কবুতরের বিদেশী প্রজাতি গুলো হচ্ছে, পোটার, লাক্ষা, হলেন্ডের সিরাজী, কিং, রেন, জেকোবিন, সাটিং, হেনা, বোরকা, জার্মান, বিউটি ও হোমা। খামারের ভিতরে প্রবেশ করলে বিদেশী এসকল কবুতর থেকে দৃষ্টি ফেরানো যায়না। খামারের ভিতরে প্রবেশ করা মাত্রই রং বেরংএর কবুতর গুলো ময়ুরের মত পেখম মেলে আগুন্তককে অভিবাধন জানায়। খামারের ভিতরে প্রবেশ না করে, চিন্তাই করা যায়না কি চৎমকার পরিকল্পনায় তৈরি এ খামার। খামারে প্রবেশকারীকে বিমুখ করে না বিদেশী কবুতর গুলো। মন জুড়িয়ে দেয় বাকবাকুম শব্দে। সাদা, কালো, সিলভার, লাল, বিস্কুট, ব্লু, হলুদ, ঝর্ণা সাটিং ও ব্লু সাটিংসহ নানা রংয়ের কবুতর রয়েছে। ২ শতাংশ জায়গাতে দু’চালা ঘরের ভিতরে লোহার খাছায় খোপ করে রাখা হয়েছে এই কবুতর গুলো। কবুতর গুলোকে খাবার হিসেবে মশারির ডাল, ডাবলি, গম, ভুট্টা, রেজা ইত্যাদি খাওয়ানো হয়। খামারে কবুতরের পাশাপাশি বেশ সুন্দর কিছু পাখিও রয়েছে।
২০০৯ সালে দেশি ৫ জোড়া কবুতর নিয়ে শখের বসত শুরু হয় হাজী মাকসুদুল বাসার বাধঁনের কবুতর পালন। কিন্তু গত বছর থেকে বাণিজ্যিক ভাবে কবুতর পালন করার জোক তার মাথায় চেপে বসে । শুরু করেন বাণিজ্যিক কবুতর পালন। তিনি গত এক বছর শুধু কবুতরের বাচ্চা বিক্র করে লক্ষধিক টাকা আয় করেন। প্রতিদিন এই খামার থেকে কবুতরের বাচ্ছা বিক্রি হচ্ছে।
সফল খামারী যুবলীগ নেতা হাজী মাকসুদুল বাসার বাঁধন জানান, স্কুল জীবন থেকে কবুতর পালনের প্রতি আমার শখ ছিল। সর্বপ্রথম ঢাকায় কবুতর পালন শুরু করি। পরবর্তীতে বিদেশী কবুতর পালনের দিকে জোক বাড়তে থাকে। গত বছর থেকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কবুতর পালন শুরু করি। তিনি আরো বলেন, সঠিকভাবে পালন করতে পারলে কবুতরের খামার একটি লাভজনক ববস্যা হতে পারে। এছাড়া এর মাধ্যমে বেকার যুবকেরা অল্প জায়গায় সৌখিনভাবে কর্মসংস্থান করতে পারে। ভবিষৎতে কবুতর পালনের পরিকল্পনা সর্ম্পকে তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, তার খামারে তিনি ১’হাজার কবুতর পালন করতে চান। এছাড়া খামারটি বড় করার পরিকল্পনা রয়েছে।
শিরোনাম:
শনিবার , ২২ মার্চ, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৮ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।