ফরিদগঞ্জ সংবাদদাতা: চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে তিন বছর বিদেশ থেকে এসে অন্যত্রবিয়ে করেছে এক প্রবাসী বিচার ছেয়ে বিভিন্ন মানুষের দারে দারে গুরছে স্ত্রী। বিয়ে করার পর মাত্র ১৫ দিন সংসার জীবন করার পর প্রবাসে চলে যায় স্বামী। সংসারে স্বাভাবিক সুখশান্তি থাকার পরেও ঐ পরিবারে থাকা সম্ভব হয়নি গৃহবধূ রত্নার।
ঘটনাটি উপজেলার ১৬ নং রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের চর মান্দারী গ্রামের পাটোয়ারী বাড়িতে। জানা গেছে, চর মান্দারী গ্রামের দুলাল পাটোওয়ারীর বড় ছেলে জিল্লুর রহমানের সাথে পৌর সদরের মিরপুর গ্রামের তালুকদার বড়ীর বিল্লাল হোসেনের মেয়ে রতœা আক্তারের সাথে ২০১৭ সালের ২০ই আগস্ট ইসলামী শরিয়া মোতাবেক পারিবারিক ভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
বিয়ের এক পক্ষ কালের মাথায় স্বামী প্রবাসে চলে যাওয়ার পর শ্বশুর-শাশুড়ির অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয় রত্না। মানসিক নির্যাতনের পর শশুর দুলাল পাটোয়ারী পুত্র বধু রত্নাকে একাধিকবার শারীরিক নির্যাতনের চেষ্টা করে। নির্যাতন সইতে না পেরে রত্না পালিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে ।
আসার পর থেকেই অসহায় পিতা বিভিন্ন জায়গায় সালিশ দরবারের ব্যবস্থা কওে কোন বিহিত করতে পারেনি। ব্যাটারি চালিত অটো চালক বাবার পক্ষে মেয়ের সুবিচার পাওয়া সম্ভব হয়নি। যেখানে যায় শালিসদেরকে অর্থের বিনিময়ে চুপ করিয়ে দেয় দুলাল পাটওয়ারী। পরবর্তীতে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তাদেরকে থানা পুলিশ একাধিকবার ডাকলেও কোন সাড়া দেয়নি তারা।
এহেন পরিস্থিতিতে পরবর্তীতে চাঁদপুরের বিজ্ঞ আদালতে তাদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রতœা আক্তার ওই অভিযোগ করার পর থেকেই বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান দিয়ে আসছে বলে রতœা ও তার মা বাবা জানান। ফরিদগঞ্জে থাকতে দিবে না মেরে লাশ গুম করে ফেলবে বলে হুমকি অব্যাহত রেখেছে দুলাল পাটোওয়ারীর পরিবার। তাদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। গ্রেফতার পরোয়ানা মাথায় নিয়ে দেশে এসে গোপনে বিয়ে করে বিদেশে চলে যায় স্বামী জিল্লুর রহমান।
এবিষয়ে সরোজমিনে দুলাল পাটোওয়ারীর বাড়িতে গিয়ে জানতে চাইলে তিনি সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এই মেয়ে কে আমার বাড়িতে আর উঠতে দেওয়া হবে না তাই আমরা আদালতে স্বীকার করে বলেছি তার প্রাপ্য তা নিয়ে চলে যাওয়ার জন্য।
এবিষয়ে রতœার পিতা বিল্লাল হোসেন বলেন মেয়েকে পারিবারিক ভাবে বিয়ে দিয়েছি সংসার করার জন্য কিন্তু তারা আমার মেয়েকে অমানবিক নির্যাতন করেছে। তাছাড়া যৌতুত দাবী করে আসছে।আমি তাদেও দাবী মেটাতে না পারায় আমার মেয়েকে চরমভাবে শমুর বাড়ির লেঅকজন নির্যাত করে চলিেছল। মেয়ে নিরুপায় হয়ে আমার বাড়িতে গত ১ বছর পূবে পূর্বে চলে আসে। ্ আমি বিজ্ঞ আদালতের কাছে এদেও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাই।
এবিষয়ে ফরিদগঞ্জ পৌরসভার সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিল মহসিন বলেন বহুবার চেষ্টা করেছি সমাধানের জন্য কিন্তু সম্ভব হয়নি। তবে এবিষয়ে বিজ্ঞ আদালতই সুষ্ঠু সমাধান করতে পারবে।
চাঁদপুরনিউজ/এমএমএ/