মো. শিমুল হাছান
ফরিদগঞ্জে বিজ্ঞান বিভাগ চালু নেই এমন বিপুল সংখ্যক প্রতিষ্ঠানে সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেসিপ) কর্তৃক সরবরাহকৃত বিজ্ঞানের সরঞ্জামাদি সরবরাহ করা হয়েছে। আবার এমন প্রতিষ্ঠানও রয়েছে যাদের বিজ্ঞান বিভাগ চালু থাকা সত্বেও পায়নি বিজ্ঞানের মালামাল।
মালামাল প্রাপ্ত ৮৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ৩টি কলেজ, ৩৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৪৫টি মাদ্রাসা। বিশেষ করে মালামাল প্রাপ্ত ৪৫টি মাদ্রাসার মধ্যে ৩/৪টি মাদ্রাসা ছাড়া বাকিগুলোতে বিজ্ঞান বিভাগ চালু নেই। আর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যেও অনেকগুলোতে বিজ্ঞান বিভাগ চালু নেই।
ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসায় ভোকেশনাল ও মাদ্রাসা উভয় শাখাতে বিজ্ঞান বিভাগ চালু থাকা সত্বেও পায়নি বিজ্ঞান বিভাগের সরঞ্জামাদি। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মাহাবুবুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানে দুটি শাখায় বিজ্ঞান বিভাগ চালু থাকা সত্বেও বিজ্ঞান বিভাগের জন্য বরাদ্দকৃত মালামাল পেলামনা। অথচ কমপক্ষে ৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞান বিভাগ না থাকা সত্বেও মালামাল পেয়েছে। ওঁই প্রতিষ্ঠানগুলোতে মালামাল গুলো কোন কাজেই আসবেনা। তিনি আরো জানান, বারবার আবেদন করেও আমি কম্পিউটার ল্যাব পাইনি।
বিজ্ঞান বিভাগবিহীন মাদ্রাসাগুলোর প্রধানদের মধ্যে অনেকেই জানান, আমরা এ সকল মালামাল দিয়ে কি করবো। তারা আরো জানায়, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৫ লাখ টাকা মূল্যের সরঞ্জামাদি বিতরণ করা হলো । আমাদের টাকা দেওয়া হলে প্রতিষ্ঠানের সুবিধামত উন্নয়ন করা সম্ভব হতো।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার চলতি দায়িত্বে নিয়োজিত মোঃ ইউনূছ ফারুকী জানান, আমার দপ্তর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা পাঠায়নি। এ তালিকা অন্যকোনভাবে করা হয়েছে। তাই আমি অবহিতনই। কিভাবে বিজ্ঞান বিভাগ থাকা প্রতিষ্ঠান বাদ পড়ল আর বিজ্ঞান বিভাগ না থাকা বিপুল সংখ্যক প্রতিষ্ঠান স্থান পেল তা আমার জানা নেই।