জেল হাজত থেকে বেরিয়ে পুনরায় মাদক ব্যবসায় জড়িত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্বজিৎ দাস (২৫)-এর বিরুদ্ধে। শুক্রবার দিবাগত রাতে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তাকে আটক করা হয়। সে একাধিক মাদক মামলার আসামী। এর পূর্বে হাজত খেটেছে একাধিকবার। ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার দাস বাড়ির বিশ্বজিৎকে গতকাল শনিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেছে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ। বিশ্বজিৎকে আটক করতে গিয়ে ফরিদগঞ্জ থানার এএসআই মোঃ রবিউল আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাত প্রায় ১২টায় স্থানীয় দাস বাড়ির শ্রী যুবরাজ চন্দ্র দাসের পুত্র বিশ্বজিৎ দাস (২৫) ও মৃত প্রাণ গোপাল দাসের পুত্র শ্রী কৃষ্ণ দাস (৩৮) ইয়াবা ট্যাবলেট বহন করছিলো। তারা দু’জন ফরিদগঞ্জ বাজার থেকে দাসপাড়ার দিকে যাচ্ছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই উনু মংসহ পুলিশের তিন সদস্য উপস্থিত হয়ে থানার বাউন্ডারির পাশে মোস্তফা ভিলার সামনে তাদের দাঁড়াতে বলে। পুলিশের ডাক উপক্ষো করে অভিযুক্ত দু’জন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ দ্রুত তাদের দুজনকে ধরে ফেলে। এ সময় বিশ্বজিৎ দাস পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে লিপ্ত হয়। পুলিশের এএসআই রবিউল আলম আহত হওয়া সত্ত্বেও এএসআই রবিউল অভিযুক্তকে ধরে রেখে চিৎকার দিয়ে পথচারীদের সাহায্য চান। কয়েকজন পথচারী সাহায্য করতে এগিয়ে আসে। খবর পেয়ে থানা থেকে এসআই নাছির উদ্দিন, এসআই নাজমুল হোসেন, এএসআই. ইলিয়াস উদ্দিন, কনস্টেবল এমরান হোসেনসহ ৫-৬ জন পুলিশ সদস্য ছুটে আসেন। তারা বিশ্বজিৎ দাসকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে থানায় নিয়ে যান। আহত রবিউল আলমকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করান। এদিকে আহত এএসআই রবিউল আলমসহ তিন পুলিশ সদস্যের সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময় অপর অভিযুক্ত শ্রী কৃষ্ণ দাস দৌড়ে পালিয়ে যায়।
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রকিব জানিয়েছেন, অভিযুক্ত দু’জন ইয়াবা ট্যাবলেট বহন করছিলো। তাদের নামে মামলা রুজু করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বিশ্বজিৎ-এর কাছে ১০ পিচ ইয়াবা পাওয়া গেছে। সে একাধিক মাদক মামলার আসামী ও একাধিকবার হাজত খেটেছে।