স্টাফ রিপোর্টার
ফরিদগঞ্জে মাদক সম্রাট হিসেবে পরিচিত, নিরীহ জনগণকে টর্চার সেলে জিম্মি রেখে নির্যাতন ও জোরপূর্বক অর্থ আদায় করা, চাঁদাবাজি, অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহারসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে রুহুল আমিন শরীফ (৩৫)কে গতকাল শনিবার বিকেলে ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার দাসপাড়া থেকে আটক করেছে থানা পুলিশ। এলাকার লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে বলে জানা গেছে। এদিকে তার আটকের সংবাদে মিরপুর, সাহাপুর, নোয়াগাঁও গ্রামসহ আশপাশের লোকজনের মাঝে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরে এসেছে। এ সময় লোকজনের মাঝে মিষ্টি বিতরণের সংবাদও পাওয়া গেছে।
সূত্রে জানা যায়, ফরিদগঞ্জ এলাকার মিরপুর গ্রামের মৃত মুকবুল আহমেদের দ্বিতীয় ছেলে রুহুল আমিন শরীফ। বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত থাকায় বিগত অপারেশন ক্লিনহার্টের সময় সেনাবাহিনীর হাতে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক হয়েছিল সে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পূর্বে কয়েক বছর গা ঢাকা দিয়েছিল। গত বছরের মাঝামাঝিতে এলাকায় ফিরে এসে পুনরায় নিজেকে কোথাও যুবলীগ নেতা আবার কোথাও পৌর আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয়ে মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকারী ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছিল। এছাড়া এলাকায় মূর্তিমান আতঙ্ক হিসেবে পরিচিত শরীফের রয়েছে একাধিক সন্ত্রাসী বাহিনী ও কয়েকটি টর্চার সেল। এলাকায় তার নামে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের বিভিন্ন পদ ব্যবহার করে বিলবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন টানানো রয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন জানায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাহেদ সরকার জানান, নেশাখোর ও সন্ত্রাসী কোনো দলের লোক নয়। পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহের হোসেন রতন জানান, শরীফ নামে কাউকে আমি চিনি না। সন্ত্রাসীদের কোনো দল নেই, এই শরীফ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের কোনো পদে নেই বা দলীয় কেউ নয়। সে দলের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছিলো বলে শুনেছি। ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হক জানান, আটক শরীফের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, লোকজনকে জিম্মি করে অর্থ আদায়, চাঁদাবাজিসহ এলাকার লোকজনের বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। তার আটকের সংবাদে এলাকার লোকজনের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।