চাঁদপুর নিউজ রিপোর্ট
মাহে রমজানকে ঘিরে ব্যস্ততা বেড়েছে মুড়ি পল্লী হিসেবে খ্যাত ফরিদগঞ্জ উপজেলার আলোনীয়া গ্রামের বাসিন্দাদের। ধান সিদ্ধ শেষে প্রতিদিন এখন মুড়ি ভেজে বাজারজাত করার প্রক্রিয়া চলছে ওই পল্লীর ৭০/৮০টি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে।
জানা গেছে, মেশিনে তৈরি মুড়ির কারণে সারা বছর তাদের বিক্রি অনেকটা কম হলেও রমজান মাসে তা দ্বিগুণ হয়ে যায়। আলোনীয়া গ্রামের জীবন চন্দ্র দাস, খগেশ চন্দ্র দাস জানান, এক সময় শুধু মুড়ি ভেজেই এসব পরিবারের লোকজন খুব ভাল অবস্থানে থাকলেও মেশিনে তৈরি মুড়ি বাজারে আসায় তাদের ব্যবসায় মন্দা দেখা দিয়েছে। ন্যায্য মূল্য না পাওয়ার আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই অনেকে পেশা পরিবর্তন করেছেন।
ওই গ্রামের রচনা রাণী, বাসন্তী রাণীসহ মুড়ি ভাজার সাথে জড়িত লোকজন জানান, প্রতিদিন তারা ভোর হতে শুরু করেন মুড়ি ভাজার কাজ। মুড়ি ভাজা শেষে এগুলো ফরিদগঞ্জ, রায়পুর, লক্ষ্মীপুর এবং পার্শ্ববর্তী রূপসা, হায়দারগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় পাইকারী বিক্রির জন্য পাঠানো হয়।
শীতল দাস, কমল দাস, সুনীল দাসসহ লোকজন জানান, তারা বিভিন্ন স্থান থেকে ঘিঘজ, ভুসিয়ারা ধান কিনে নিয়ে তা সিদ্ধ করে মুড়ি ভাজার কাজ করেন। তারা জানান, একটি পরিবার প্রতিদিন গড়ে ২ মণ ধানের মুড়ি ভাজতে পারে। সারা বছর মেশিনে তৈরি মুড়ির কারণে চাহিদা কম থাকলেও রমজানের সময় তা কয়েকগুণ হয়ে যায়। ফলে রমজানের শুরু থেকেই ব্যস্ততা অরেক বেড়ে যায়। সারা বছরের টানাটানি এই মাসে কিছুটা লাঘবের চেষ্টা করেন।
শিরোনাম:
শুক্রবার , ১৬ মে, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।