আনিছুর রহমান সুজন,
ফরিদগঞ্জে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে চোরের অপবাদ দিয়ে এমরান হোসেন(৩০) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। রোববার দুপুরে উপজেলার পুর্ব ভাওয়াল গ্রাম থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুরে প্রেরন করেছে।
এদিকে রোববার বিকাল পর্যন্ত হত্যার ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে থানা পুলিশ প্রধান অভিযুক্ত মানিক হোসেন মিজি ও তার স্ত্রী নুরজাহান বেগমকে আটক করেছে।
ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন জানান, গভীর রাতে খবর পেয়ে পুর্ব ভাওয়াল গ্রামের চুরির অভিযোগে নিহত এমরান হোসেন মিজিকে গাছের সাথে বেঁেধ পিটাতে দেখেন তিনি। ওই সময়ে তিনি এর কারণ জনাতে চাইলে তারা কর্ণপাত না করে পিটানো অব্যাহতরাখে। পরে তিনি থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়। সকালে তিনি জানতে পারেন তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নিহতের স্ত্রী শিল্পী বেগম বলেন, একই গ্রামের জয়নাল, হাবিব ও মানিক নামে তিন যুবক মোবাইল ফোনে তার স্বামীকে ডেকে এনে প্রথমে গাছের সঙ্গে বেঁধে পরে পিটিয়ে হত্যা করে । তিনি স্বামী হত্যার বিচার দাবি করেন।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি নাজমুল হক জানান, মধ্য ভাওয়াল গ্রামে পিটিয়ে যুবক হত্যার অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর ওই গ্রামের আবুল খায়ের মিজির বাড়ির লোকজন গা ঢাকা দিয়েছে। নিহতের চাচাতো ভাই সহিদউল্যাহ জানান, চুরির অপবাদ দিয়ে তার জেঠাতো ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।
গ্রামের মৃত হারুন পাটোয়ারীর ৪ ছেলে, ১ মেয়ের মধ্যে এমরান হোসেন ছিলেন ্িদ্বতীয়। তিনি গ্রামে কৃষি কাজ করতেন। তার ৫বছর ও ৩ বছরের দু‘টি কন্যা সন্তান রয়েছে।#