প্রতিনিধি-
মাহফুজুর রহমান টিপু চাঁদপুর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি, ফরিদগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক। তার বাড়ি উপজেলার ১০নং দক্ষিণ গোবিন্দপুর ইউনিয়নের নয়াহাট এলাকার চরভাগল গ্রামে। বর্তমানে শতভাগ সময় রাজনীতির পেছনে ব্যয় করছেন। ফলে গত ২৫ অক্টোবর উপজেলার নেতা-কর্মীদের সাথে মিছিলের সামনেই ছিলেন। শানত্দিপূর্ণ মিছিলে আকস্মিক হামলা, গুলিতে সহযোদ্ধাদের অকাল মৃত্যুতে তিনি ভীষণ মর্মাহত। এক কথায় বলতে গেলে দলের ত্যাগী টগবগে যুবক সহযোদ্ধাদের রক্তের বন্যা দেখে বিস্মিত হতবাক। এমতাবস্থায় তার কাছে সেদিনের প্রকৃত ঘটনা জানতে চাইলে অত্যনত্দ মর্মাহত মনে তিনি বললেন, গণজমায়েতের নির্ধারিত স্থান ছিলো টিএন্ডটির মোড় থেকে আল-মদিনা হাসপাতাল পর্যনত্দ। লোকজন ৩টা থেকে সেখানে আসতে থাকে। আমরা সাড়ে ৪টায় মিছিল শুরু করি। বাসস্ট্যান্ড হয়ে পশু হাসপাতালের সামনে যাই। সেখানে ৪০/৫০ জন পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। এ কারণে মিছিলটি পুনরায় টিএন্ডটি মোড়ের দিকে রওয়ানা দেয়। তখন সাথে সাথে আশেপাশের বিল্ডিং থেকে আওয়ামী লীগের লোকজন ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ওই ইট আমাদের মিছিলের লোকজনসহ পুলিশের গায়ে এসে পড়ে। এ সময় পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে পুলিশ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ একত্রে গুলি করে আমাদের ধাওয়া করে। ফলে আমাদের মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হলে লোকজন দিগ্বিদিক ছুটাছুটি শুরু করে। তখন প্রায় এক/দেড়শ’ লোক গুলিবিদ্ধ এবং ইটের আঘাতে আহত হয়। ঘটনাস্থলে ১৫নং রূপসা উত্তর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান আরিফ নিহত হন। এ সময় ৮নং পাইকপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি গুলিবিদ্ধ হয়ে রাসত্দায় প্রায় ১ ঘণ্টা পুলিশ বেষ্টনীতে পড়ে থাকেন। পরবর্তীতে পুলিশ সরে যাবার পর তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নঙ্ েনেয়া হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে পরবর্তীতে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এছাড়া ১৫নং রূপসা উত্তর ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি বাবুল হোসেনও গুলিবিদ্ধ হয়ে রাসত্দায় পড়ে থাকে। তাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপেস্নঙ্ েনেয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা পাঠানো হয়। পথিমধ্যে মতলবে মারা যান।
টিপু জানান, ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নঙ্ থেকে ৪ জনকে চাঁদপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে, ৮ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ৪ জনকে লক্ষ্মীপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন মোঃ তারেক হোসেন ও সাইফুল ইসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তিনি জানান, এর বাইরে স্থানীয় হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিক, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, রায়পুরের বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে ১৫/২০ জনের মতো চিকিৎসাধীন আছে। তার দাবি, তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল মিথ্যা মামলা নিঃশর্ত প্রত্যাহার করা হোক। একই সাথে প্রকৃত খুনিদের গ্রেফতার করা হোক।