
এ ব্যাপারে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ফরিদগঞ্জ থানায় ওই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। সপ্তাহ পূর্বে উপজেলার ৪নং সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে নারকীয় এই ঘটনাটি ঘটে। জানা গেছে, শ্রবণ প্রতিবন্ধী কিশোরীটি গত সোমবার ১১ জানুয়ারি বিকেলে বুকের ব্যথার ওষুধ কেনার জন্য বাড়ি থেকে বের হলে একই বাড়ির জামাল হোসেনের ছেলে অটোবাইক চালক টিটু (২০) কৌশলে তার অটোবাইকে তুলে কিশোরীকে পার্শ্ববর্তী একটি বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর তাকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রাত হয়ে গেলে অন্য সহযোগীরা পালাক্রমে দ্বিতীয়বার ইউনিয়নে পরিষদ ভবন এলাকায় এবং সর্বশেষ পার্শ্ববর্তী একটি বাগানে নিয়ে আবারো ধর্ষণ করে এবং ওই বাগানের পাশে ফেলে রেখে যায়।
পরে আশপাশের লোকজন টের পেয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে পেঁৗছে দেয়। বাড়ি ফিরে কিশোরীটি পরিবারের লোকজনকে এ ঘটনা জানায়। এরপর স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি।
সোমবার ১৮ জানুয়ারি রাতে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ গণধর্ষণের বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যায়। কিশোরী ও তার পরিবারের বক্তব্যের সূত্র ধরে অভিযানে বের হয়। রাতভর অভিযান চালিয়ে জামাল হোসেনের ছেলে অটোবাইক চালক টিটু (২০), আইটপাড়া গ্রামের আঃ মান্নানের ছেলে শিপন (২৫), একই গ্রামের মৃত আবু বকর সিদ্দিক প্রকাশ কালুর ছেলে মিজানুর রহমান রিপন (৪৫) এবং মঙ্গলবার বিকেলে কামতা গ্রামের শরাফত আলীর ছেলে চৌকিদার আঃ মালেক (৪৫)কে আটক করে। আটককৃত প্রথম তিনজন সিএনজি অটোবাইক চালক।
পরে মঙ্গলবার বিকালে ঘটনার শিকার কিশোরীর মা জোছনা বেগম বাদী হয়ে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে ফরিদগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহিদ হোসেন জানান, সোমবার রাতে ঘটনাটি শোনার পর রাতেই সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত ৩ জন এবং মঙ্গলবার বিকেলে আরো ১ জনসহ মোট ৪ জনকে আটক করতে সক্ষম হই। বাকিদেরকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কিশোরীটিকে উদ্ধার করে পরবর্তী আইনী পদক্ষেপের জন্য ও আটককৃতদের চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।