ফরিদগঞ্জ(চাঁদপুর) প্রতিনিধি : চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জে আত্মহত্যার প্রবণতা দিনদিন বেড়েই চলেছে। সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয়, সাংসারিক টানাপোড়েন ও ধর্মীয় মূল্য বোধের অভাব, মোবাইল ফোন অপরাধ থেকে এই প্রবণতা বাড়ছে বলে সচেতন মহলের মনে করছেন। এর মধ্যে উঠতি বয়সের কিশোর- কিশোরী ও গৃহবধূদের মধ্যে এই প্রবণতাটা বেশি দেখা যায়।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৬টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে দুইজন কিশোর, এক কিশোরীসহ তিনজন গৃহবধূ। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার মাঝরাতে প্রবাসী স্বামীর সাথে মুঠোফোনে কথোপকথনের একপর্যায়ে অভিমানে শারমীন আক্তার(২২) নামে এক গৃহবধু আত্মহত্যা করেছে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ বৃহস্পতিবার মাঝরাতেই লাশ উদ্ধার করে শুক্রবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরন করে। এব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। রূপসা উত্তর ইউনিয়নের গাব্দের গাও গ্রামে এঘটনা ঘটে। শারমীন ঐ গ্রামের সৌদি প্রবাসী মোহন মিয়ার স্ত্রী ও এক সন্তানের জননী।
নিহতের শ্বশুর দেলোয়ার হোসেন জানান, প্রতিদিনের ন্যায় বৃহস্পতিবার রাতে খাবার খেয়ে সে তার রুমে ঘুমাতে যায়। পরে মাঝরাতে তার শিশু বাচ্চাটির চিৎকার শুনে তার দাদি ছুটে যায়। এ সময় তাকে ডাকাডাকি করে তার সাড়া না পেয়ে জানালার উপড় দিয়ে উঁকি মেরে দেখতে পায় সে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে রয়েছে। পরে ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশকে ঘটনা জানালে পুলিশ এসে দরজা খুলে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক জামাল হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। এব্যাপারে অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারী গোবিন্দপুর গ্রামে হাসি আক্তার ঝর্না(১৬) নামে এক কিশোরী গৃহবধূ বিষপানে, ৩১ জানুয়ারী বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের সোসাইরচর গ্রামের বাইশ্যা বাড়ির দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান(১৯) গলায় ফাঁস দিয়ে, ৩ ফেব্রুয়ারী সন্তোষপুর গ্রামের রাঢ়ি বাড়ির রাকিব হোসেনের স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী সুইটি আক্তার গলায় ফাঁস দিয়ে ও ৩ ফেব্রুয়ারী রাতে ফরিদগঞ্জ পৌরসভাধীন পশ্চিম বড়ালি গ্রামের আবুল বাসারের ছেলে শামীম হোসেন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।