ফরিদগঞ্জে দশম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে ওই বিদ্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর কাম করণিক পালিয়ে গেছে। সাইফুল ইসলাম নামে ওই কম্পিউটার অপারেটর কাম করণিক উপজেলার গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে গত প্রায় ১ বছর ধরে ওই পদে কর্মরত রয়েছে। ওই করনিকের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে একই বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগের পর স্থানীয়ভাবে শালীসে ১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘটনাও রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। এদিকে স্কুল ছাত্রীকে নিয় পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্থানীয় অভিভাবকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা করনিককের বিদ্যালয় থেকে বহিস্কার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
সরেজমিন গেলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ কবির আহমেদ ও শিক্ষক প্রতিনিধি মজিবুল হক মিয়াজিসহ উপস্থিত শিক্ষকগণ জানান, কোন ছুটি ছাড়াই গত শনিবার থেকে অভিযুক্ত ওই করনিক বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন এবং ওই ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার কথা শুনেছেন স্বীকার করে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাথে বৈঠক করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান। অপরদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী জানায়, চররাঘব রায় গ্রামের প্রবাসী আবু আনছার পাটওয়ারীর মেয়ে উক্ত বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ওই ছাত্রীটির সাথে বিদ্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর কাম করনিকের প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি মাস খানেক পূর্বে আঁচ করতে পারে ছাত্রিটির অভিভাবকরা। এরপর ওই ছাত্রিটিকে বিদ্যালয়ে না পাঠিয়ে চাঁদপুর শহরে ভাড়া বাসা নিয়ে আটকে রাখে তারা। কিন্তু গত শুক্রবার বিকেলে ওই ছাত্রিটি বাসা থেকে বের হয়ে সোজা সাইফুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে উঠে। তারপর থেকে আইনি জটিলতা এড়াতে ওই ছাত্রীকে নিয়ে উধাও রয়েছেন সাইফুল ইসলাম। ইতিমধ্যে তারা পালিয়ে বিয়ে করেছে বলেও তারা শুনেছেন। এলাকাবাসী আরো জানায়, ওই লম্পট কম্পিউটার অপারেটর ও করনিক একই বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে স্থানীয়ভাবে শালীসে বছর খানেক পূর্বে ১ লাখ টাকা জরিমানা দিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ওই করনিকের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। ওদিকে ওই ছাত্রীর বাবার বাড়িতে গেলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে তার খালু আমান উল্লা আমান জানান, তার মা তার খোঁজ করতে আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে রয়েছেন। তিনি ফিরে আসলেই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মনির হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অসুস্থতাজনিত কারণে ঢাকায় রয়েছেন তিনি আসলেই ম্যানেজিং কমিটির বৈঠক করে শিক্ষার পরিবেশ সমুন্বত রাখা, এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা, সর্বোপরি শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিদ্যালয়ের সুনাম রক্ষার্থে সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্দা হাফেজ আহাম্মদ খান ফোনে জানান, তিনি কথাটি শুনেছেন। বর্তমানে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা অবস্থান করছেন। ঢাকা থেকে ফিরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শিরোনাম:
শুক্রবার , ২৫ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১২ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
চাঁদপুর নিউজ সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।