জিয়াউর রহমান বেলাল ॥
মহামাণ্য হাইকোর্টের স্থিতাবস্থার সুস্পষ্ট আদেশ বার বার সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে এলাকার একটি চিহ্নিত ভূমিদস্যু গ্র“প ভিপি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তি অবৈধভাবে জবর দখলের জন্য ফরিদগঞ্জের একটি প্রভাবশালী মহলের সহায়তায় কড়ৈতলী গ্রামে গত ১২ অক্টোবর ২০১৫ খ্রিঃ তারিখে সর্বশেষ আশ্রয়স্থল থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী সরদারের অসহায় পরিবারকে অমানবিকভাবে উচ্ছেদ করার লোমহর্ষক ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। ওইদিন এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু ও কুখ্যাত মামলাবাজ আবুল বাশার কাজী বিভিন্ন এলাকার একদল সন্ত্রাসী ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সহযোগে হামলা চালিয়ে বেদম মারপিট, লুটপাট, ভাংচুর করে বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী সরদারের অসহায় পরিবার পরিজনকে ঘর থেকে জোরপূর্বক টেনে হিঁচড়ে বের করে দিয়ে তাদের শেষ আশ্রয়স্থলটুকু দোচালা ঘরটুকু পর্যন্ত জবর দখল করে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর আগে এহেন অপপ্রায়সের লক্ষ্যে গত ১১ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে আবুল বাশার কাজীর নেতৃত্বে দেড়শ’ থেকে দুইশ’ ভাড়াটে সন্ত্রাশী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র এবং আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে জোরপূর্বক বাড়ির ভেতর ঢুকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। ঘরে বসবাসকারী মহিলাদের শারীরিক নির্যাতন করে টেনে হিঁচড়ে ঘর থেকে বের করে দেয়। এছাড়া ওই অসহায় পরিবারের কর্তা ষাটোর্ধ্ব বীর মুক্তিযোদ্ধ লিয়াকত আলী সরদারকে মধ্যযুগীয় কায়দায় হাত-পা বেঁধে ব্যাপকভাবে মারধর করে পকেটে থাকা মোবাইল ও নগদ ৭ হাজার টাকা নিয়ে যায়। ভাংচুর ও লুটপাট শেষে তারা ঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। যা পরদিন স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকা এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় সচিত্র প্রতিবেদন আকারে ফলাও করে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়।
এ ব্যাপারে এ পর্যন্ত মোট তিনটি মামলা ফরিদগঞ্জ থানায় দায়ের করা হয়। এগুলো হচ্ছেঃ মামলা নং- ২৬, তারিখ-১২/১০/২০১৫ইং, ধারা-১৪৩/৩২৩/৩০৭/৪৩৬/৩৮০/৩৫৪/৩৭৯/৪২৭/৫০৬(২)/১০৯ পিসি, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ইব্রাহিম খলিল, বাদী বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী সরদারের স্ত্রী ভূক্তভোগী হাছিনা মমতাজ, ঘটনাস্থল বাদীনির বসত বাড়ির ৩টি বসত ঘর। মামলা নং-৩২,তারিখ-১৯/১০/২০১৫ইং, ধারা-৪৪৭/৩৭৯/৪২৭/৩৪ পিসি, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফারুক আহাম্মদ বাদী- মোঃ মোবারক হোসেন খান, ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা, পাইকপাড়া (দঃ) ইউনিয়ন ভূমি অফিস, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর, ঘটনাস্থল- ফরিদগঞ্জ থানাধীন ২০৮ নং কড়ৈতলী মৌজার ৮৬০, ১৪৪০, ১৪৪১, ১৪৪২, ১৪৪৪ ও ১৪৪৬ এই মোট ৬টি দাগে ২.৪৩৫০ একর ভূমি, বিবাদীরা হচ্ছে- ০১। মোঃ বেলায়েত হোসেন, ০২। মোঃ আবুল বাশার কাজী, উভয় পিতা – মৃত মোঃ কলিম উল্যাহ, ০৩। রেনু বেগম, স্বামী – মোঃ আবুল বাশার কাজী, ০৪। আজিম খান, পিতা- মৃত আঃ মজিদ খান, ০৫। মোস্তাফিজুর হোসেন, পিতা- আলী আজম, ০৬। কাজল খান, পিতা- মৃত আঃ মজিদ খান, ০৭। কালু মিয়া খান, পিতা- মৃত আঃ মজিদ খান, ০৮। আবুল খায়ের সরদার, পিতা- আঃ জলিল সরদার, সর্ব সাং- কড়ৈতলী, উপজেলা – ফরিদগঞ্জ, জেলা – চাঁদপুর। এ ব্যাপারে দীর্ঘদিনেও ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করতে পারেনি। পুলিশ অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে বিবাদীরা তাদের নিয়োজিত দালাল মহিলাদেরকে ঘরের ভিতরে দখলে রেখে পুরুষ সন্ত্রাসীরা একটু দূরে গা ঢাকা দিয়ে থাকে এবং পুলিশ চলে গেলে পুরুষ সন্ত্রাসীরা আবার ঘটনাস্থলে ঘরে এসে দখলে ঢুকে অবস্থান নেয়। অথচ উক্ত সম্পত্তির ওপর মহামাণ্য হাইকোর্টের সুস্পষ্ট স্থিতাবস্থা রয়েছে। কিন্তু উক্ত সম্পত্তির ওপর মহামাণ্য হাইকোর্টের সুস্পষ্ট স্থিতাবস্থা থাকা সত্তেও উক্ত মামলাগুলোর বিবাদী গং উক্ত সম্পত্তির ওপর সম্পূর্ণ অবৈধ ও বেআইনীভাবে জবর দখল করে রয়েছে। – যা উল্লেখিত সরকারি সম্পত্তির জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ এবং ভবিষ্যতে উক্ত সরকারি সম্পত্তি হাতছাড়া বা বেদখল হয়ে যাওয়ার জোর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ রহস্যজনক কারণে উক্ত সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি থেকে উল্লেখিত মামলাগুলোর বিবাদীদের অপসারন কিংবা সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় মহামাণ্য হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা আদেশের কোনো বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ও কার্যকর উদ্যোগ ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা থেকে বিরত রয়েছে। আর এ সুযোগে উল্লেখিত বিবাদীরা উক্ত সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি সম্পূর্ণ অবৈধ ও বেআইনীভাবে জোরপূর্বক দখল করে নিয়ে বহাল তবিয়তে রয়েছে। ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের এহেন রহস্যজনক ভূমিকার নেপথ্যে একটি প্রভাবশালী মহলের জোর চাপ রয়েছে বলে পুলিশ সম্পূর্ণ নিস্ক্রিয় থাকায় মহামাণ্য হাইকোর্টের স্থিতাবস্থার আদেশ এতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলে অভিজ্ঞ ও পর্যবেক্ষক মহল সূত্রে জানা যায়। উপরন্তু উল্লেখিত বিবাদী তথা ভূমিদস্যুদের জন্য এলাকায় মারাত্মক রক্তপাত ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটার জোর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে এলাকার সচেতন জনমনে ব্যাপক চাপা ক্ষোভ ও মারাত্মক অসন্তোষ বিরাজ করছে। ঘটনার ভয়াবহতা নিয়ে সচেতন এলাকাবাসী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী সরদারের স্ত্রী ভূক্তভোগী হাছিনা মমতাজের পরিবার পরিজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসনের সুদৃষ্টি ও দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাজমুল হক সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে জানান, ‘গোটা সম্পত্তি সরকারি সম্পত্তি। কারো ক্রয় করা সম্পত্তি থাকলে তা ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ফরিদগঞ্জ উপজেলা ভূমি সহকারি কর্মকর্তাকে জানাবেন বা বলবেন। ১৩ অক্টোবর গাছ কাটার ঘটনা ও উচ্ছেদ নিয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। তবে বিষয়টি অত্যন্ত জটিল। আমরা অভিযোগ পেলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেই এবং ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অভিযোগগুলো যাচাই-বাছাই করি। বিশেষ করে সরকারি জমি সংক্রান্ত হলে সেগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সরাসরি দেখেন। অভিযোগ নিয়ে কিছুক্ষণ আগে বাদীনি (হাছিনা মমতাজ) এসেছিলেন। কিন্তু আমি তার অভিযোগ রাখিনি। বিষয়টি সরকারি সম্পত্তি সংক্রান্ত এবং এ ব্যাপারে গতকাল ১৯/১০/২০১৫ইং তারিখে সরকারিভাবে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়েছে। এ ব্যাপারে আপনাদের যদি মামলা করার কোনো ইচ্ছা হয় তাহলে আদালতে যেতে পারেন। সরকারি সম্পত্তি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে মামলা হওয়ার পর পুনরায় ওই একই সম্পত্তি নিয়ে বেসরকারি পর্যায় কিংবা ব্যক্তিগত মালিকানাধীন পর্যায় থেকে কোনো ব্যক্তির থানায় মামলা করার আর কোনো অবকাশ বা সুযোগ থাকে না বলে আমি মনে করি। তাই আমি তাদেরকে কোর্টে যেতে বলেছি। উক্ত অনিয়ম ও জোর জবর দখলের জন্য মামলা হয়েছে মোট ৩টি। এর মধ্যে ১টি ১৪৫ ধারার মামলা এবং অপর দুইটি নিয়মিত মামলা। আমি কোনো অন্যায় করি না এবং সর্বদা পরিষ্কার থাকার চেষ্টা করি। উক্ত সম্পত্তির ওপর মহামাণ্য হাইকোর্টের স্থায়ী স্থিতাবস্থা রয়েছে বলে আমার জানা নেই। এসব বিষয় দেখার দায়িত্ব ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ফরিদগঞ্জ উপজেলা ভূমি সহকারি কর্মকর্তার। গতকাল সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস থেকে ফরিদগঞ্জ থানায় যে মামলা হয়েছে সে ব্যাপারে আমরা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি’। কিন্তু সরকারিভাবে মামলা হলেও দীর্ঘ ৯দিন পরও পুলিশ উল্লেখিত আসামীদের কাউকে গ্রেপ্তার কিংবা আটক করতে পারেনি। অথচ পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকার কারণে আসামীরা মহামাণ্য হাইকোর্টের উক্ত স্থিতাবস্থার আদেশের সম্পত্তির ওপর প্রকাশ্যেই জবর দখল করে রয়েছে। পুলিশ নানা ছলছুতায় উক্ত সম্পত্তির ওপর মহামাণ্য হাইকোর্টের স্থিতাবস্থার আদেশ বাস্তবায়ন করা থেকে বিরত রয়েছে এবং উক্ত সরকারি সম্পত্তি জবর দখলকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার না করে উক্ত সরকারি সম্পত্তি বেদখল মুক্ত করছে না। এর নেপথ্যে ফরিদগঞ্জের উক্ত প্রভাবশালী মহলটির নানা কারসাজি কাজ করছে বলে সংশ্লিষ্ট বিশ্বস্থ একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পর্যালোচনা করে জানা যায়, ফরিদগঞ্জ উপজেলাধীন ২০৮নং কড়ৈতলী মৌজার ২১৭নং খতিয়ানে সিএস ১৪৪৩ বিএস ৪৫৯৬ দাগে মোট সাড়ে সাত শতক জমি হাসিনা মমতাজ (স্বামী লিয়াকত আলী সরদার) ক্রয়সূত্রে মালিক ও ভোগদখলকার বটে। এছাড়া একই মৌজায় ১০২ নং খতিয়ানে দাগ নং যথাক্রমে ৮৬০, ১৪৪০, ১৪৪১, ১৪৪২, ১৪৪৪ ও ১৪৪৬ মোট এক একর ছাপ্পান্ন শতাংশ সরকারি ভূমি হাসিনা মমতাজের ভোগদখল রয়েছে। আবুল বাশার কাজীর সঙ্গে হাসিনা মমতাজের উক্ত সরকারি সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মহামাণ্য হাইকোর্টে মামলা চলছে। শুধু তাই নয়, আগামী বছরের (২০১৬ খ্রীঃ) ফেব্র“য়ারি মাস পর্যন্ত এই সম্পত্তির ওপর মহামাণ্য হাইকোর্টে স্থিতাবস্থার সুস্পষ্ট আদেশ রয়েছে। এছাড়া এসম্পত্তি নিয়ে চাঁদপুরের বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে একটি মামলাও চলমান রয়েছে। যার শুনানি শেষ এবং রায়ের অপেক্ষায় থাকা সত্ত্বেও ভূমি দস্যু আবুল বাশার কাজী গং মধ্যযুগীয় কায়দায় হামলা চালিয়ে বসতঘর পুড়িয়ে দেয়। তারা বাড়িঘর জ্বালিয়ে-পুড়িয়েই শুধু ক্ষ্যান্ত হয়নি, মহামাণ্য হাইকোর্টের স্থিতাবস্থার আদেশের অপেক্ষা না করে বিজ্ঞ আদালতে একটি দরখাস্ত মামলা (নং-৬৮৩/১৫ তাং- ১৪-০৬-২০১৫ খ্রিঃ) করে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় উক্ত মামলার সূত্রের বরাত দিয়ে ওইদিনই অর্থাৎ দরখাস্ত মামলা দায়ের দিন ১৪-০৬-২০১৫ খ্রিঃ তারিখে অত্যন্ত তড়িঘড়ি করে ফরিদগঞ্জ থানার এস.আই মোঃ নিজাম উদ্দিন ভূঁঞা উভয় পক্ষকে আগামী ২৪-০৬-২০১৫ খ্রিঃ তারিখে ফরিদগঞ্জ থানায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ হাজির হওয়ার জন্য একটি সতর্কীকরণ নোটিশ পাঠায়। কিন্তু তারা নিজেরাই বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতে দরখাস্ত মামলা করে আবার থানা থেকে একই দিনে নোটিশ পাঠাতে সহায়তা করে আবার তারা নিজেরাই অর্থাৎ আবুল বাশার কাজী গং পুনরায় গত ১৯ জুন ২০১৫ খ্রিঃ তারিখ বাদ জুমাহ্ প্রকাশ্য দিবালোকে ২০/২৫ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসীসহ বাড়ির ভিতরে ঢুকে বসবাসকারী হাসিনা মমতাজকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে টেনেহিচড়ে জোরপূর্বক বের করে দিয়ে তাদের দু’জন মহিলাকে অবৈধ দখলের উদ্দেশ্যে ঘরে ঢুকিয়ে দেয়।
অতঃপর ফরিদগঞ্জ থানায় জানানো হলো পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অবৈধ প্রবেশকারীদেরকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে হাসিনা মমতাজের বসতঘরে তালাবদ্ধ করে দেয়। এতে হাসিনা মমতাজ স্বামী লিয়াকত আলী সরদারসহ পরিবার-পরিজনদের নিয়ে বিগত পবিত্র রমযান মাসে অন্যত্র থাকার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হয়। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য, ভূমি দস্যু আবুল বাশার কাজী গং কর্তৃক পুুড়িয়ে দেয়া হাসিনা মমতাজের ৪টি ঘরের মধ্যে ৩টি ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে যায় এবং বাকী ১টি ঘর গাছের আড়ালে হওয়ায় এ ঘরটি কোনোরকমে রক্ষা পায়। অবশিষ্ট এ ঘরটিতে লিয়াকত আলী সরদারের নামে একটি বৈদ্যুতিক সংযোগও রয়েছে। যার মিটার নম্বর- ০০০৫৪০০৪।
এমতাবস্থায় মহামাণ্য হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা এবং চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলার রায়ের আদেশ না হওয়া পর্যন্ত তাদের নিজেদের ঘরের বসতভিটায় স্বাভাবিক জীবন যাপনে মানবিকভাবে সহায়তা করার জন্য অভিজ্ঞ ও পর্যবেক্ষক মহল ফরিদগঞ্জের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ড. মোঃ শামছুল হক ভূঁইয়া এবং চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুস সবুর মন্ডল ও নবাগত পুলিশ সুপার শামসুন্নাহারের আশু সু-দৃষ্টি আকর্ষণপূর্বক ত্বরিত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।