শাহরিয়ার খান কৌশিক ॥
চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ উপজেলা ১৬নং রূপসা দনি ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ গ্রামের ৮নং ওয়ার্ডের তেতুইতলায় গ্রাম্য সালিশী মোঃ হোসেন বেপারীকে নিমমভাবে প্রতিপ সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে ও পিছন থেকে বুকে টেটাবিদ্ধ করে খুন করা হয়েছে। হত্যার নেপথ্য পূর্ব শত্র“তার জের ধরে, মালমা ও এলাকায় আদিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত।
গত বুধবার ভোর ৬টায় গ্রাম্য সালিশী হানিফ বেপারী বাড়ির ওরপে হুজির বাপের বাড়ির মৃত আঃ হালিমের ছেলে গ্রাম্য সালিশী মোঃ হোসেন বেপারী তেতুইতলা জামে মসজিদে নামায পড়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওনা হলে আলতাফের দোকানের সামনে প্রতিপরা তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এসময় নিহত হোসেনে মিস্ত্রি রেখা বেগম ও বড় বোন আনোয়ারা দেখতে পেয়ে রক্তাক্ত জযম অবস্থায় তাকে রাস্তার পাশে গর্ত থেকে উদ্ধার করে বাড়ির লোকজনদের খবর দেয়। পরে তাকে মুনুর্ষ অবস্থায় চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে। খবর পেয়ে মডেল থানার এস.আই খালেকুজ্জামান হাসপাতাল থেকে লাস ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিসে আসে। নিহত মোঃ হোসেন বেপারীকে সুরতাল শেষে ময়নাতদন্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। জানা যায়, দীর্ঘ ৭-৮মাস পূর্বে একই বাড়ির ৮নং ওয়ার্ডে ফিরোজ মেম্বারে ছোট ভাই আবদুল্লার সাথে নিহত মোঃ হোসেনের মাদকের ঘটনার নিয়ে বাকবিতন্ডের সৃষ্টি হয়। এসময় উভয়পরিবারের মাঝে রক্তয়ী সংর্ঘেষের ঘটনা ঘটে। তারপর থেকে শুরু হয় একের পর এক মামলা। ঐ ঘটনায় ফিরোজ মেম্বার আহত হওয়ায় তার পরে লোকজন প্রতিশোধ নিতে নিহত মোঃ হোসেনের ছেলে সাইফুলের বন্ধু জামাল কে চাঁদপুর লঞ্চ ঘাট এলাকায় ধরে মারধর করে ডাকাতিয়া নদীতে ফেলে দেয়। পুলিশ লাসটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে ফরিদগঞ্জে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। নিহত জামালের স্ত্রী ও তার মা পৃথক ২টি মামলা দায়ের করে। সেই ঘটনার রেস ধরে একের পর এক প বিপরে মধ্যে মামলা মোকদ্দমা শুরু হয়। ঘটনার আগের দিন ২৩ শে ডিসেম্বর মঙ্গলবার ৭ ধারা মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়ে বাড়িতে এসে পরিকল্পিতভাবে প্রতিপ ফিরোজ মেম্বারের ভাই আব্দুল্লাহ (২২), আমির হোসেন (২২), মিজান (৪৫), রুবেল (২২), রবিউল (২৩) পর দিন বুধবার ভোরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তেতুইতলা আলতাফের দোকানের সামনে ওৎ পেতে থাকে। মোঃ হোসেন নামায পড়তে একা বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসার পর প্রতিপরা পিছন থেকে তাকে হামলা করে কুপিয়ে বাম হাত কেটে ফেলে। তার মাথা কুপিয়ে রক্তাক্ত জযম করে। হামলা কারীরা পিছন থেকে টেটা বিদ্দ করলে সে মৃত্যুর যন্ত্রনায় ছটফট করতে থাকে। তার স্ত্রী ও বোন খবর পেয়ে তাকে আহত অবস্থায় রাস্তার পাশের গর্ত থেকে উদ্ধার করে উপরে নিয়ে আসার পর হামলাকারীদের বর্ণনা দেয়। এমনটাই জানালেল নিহত মোঃ হোসেন বেপারীর পরিবারের লোকজন। লোহমর্ষকর এই খুনের দৃশ্যটি দেখার জন্য শতশত মানুষ হাসপাতালে ও নিহত বাড়িতে এসে ভিড় জমায়। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার ফরিদগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ঘটনার পর থেকে হামলাকারীরা এলাকায় ছেড়ে পালিয়ে থেকে বাদীপকে মেরে ফেলার হুমকী দিয়ে আসছে। এলাকাবাসী জানায় পূর্ব থেকে উভয় পরিবারের মাঝে হামলা-মামলার ঘটনা ঘটেছে তা রাজনৈতিক দলের কিছু নেতাকর্মীরা উভয়প ইন্দন দিয়ে সমস্যা সমাধান না করে ঝুলিয়ে রেখেছে। তাই হামলা কারীরা সাহস পেয়ে একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে। এঘটনায় অভিযুক্তদের দৃশান্তমূলক শাস্তি প্রদান করলে অবশেষে খুনখারাপী বন্ধ হবে।