শওকত আলী ॥
প্রাথমিক বিদ্যালয় হলো শিক্ষা অর্জনের প্রথম স্থান। কিন্তু সে বিদ্যালয়টি যদি হয় জরার্জীন ও ঝুঁিকপূর্ণ তাহলে কিভাবে শিশুরা প্রকৃত শিক্ষা লাভ করবে? চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার প্রায় ৪২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ও ঝুঁিকপূর্ণ ক্লাশ রুমেই চলছে পাঠদান।
জানা যায়, ফরিদগঞ্জের চরমথুরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা ১শ’ ৬১, পশ্চিম রুপসা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা ৪শ’ ৩৫, কমলকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা ৯৬, দক্ষিন বড়ালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা ৬৬, পশ্চিম শোভানপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা ১শ’ ৪৩, বৈচাতরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা ১শ’ ২০, নলগোড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা ১শ’ ১১, পূর্ববদরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা ৮৩, বারপাইকাবদরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা ৯৮, দ. লড়াইচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা ১শ’ ৮০, আলোনিয়াকুলচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা ১শ’ ৯৫, প. বিশকাটালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা ১শ’ ৫১, বড়গাওঁ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা ৩৯৭ ও চান্দ্রা বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা ২৫২ জন। এ বিদ্যালয়গুলোতে শ্রেণী কক্ষ থাকলেও তা জরার্জীন ও ব্যবহার অনুপযোগী।
এছাড়াও দক্ষিন নদোনা সপ্রাবি, বদরপুর সপ্রাবি, পূর্ব গোবিন্দপুর সপ্রাবি, পশ্চিম গবিন্দপুর সপ্রাবি, সন্তোসপুর সপ্রাবি, পশ্চিম আলোনিয়া সপ্রাবি, উত্তর গজারিয়া সপ্রাবি, শ্রীকালিয়া সপ্রাবি, ভোটাল সপ্রাবি, খাজুরিয়া সপ্রাবি, সাচিয়াখালী সপ্রাবি, পশ্চিম বদরপুর সপ্রাবি, পূর্ব কাওনিয়া সপ্রাবি, দক্ষিন সাহেবগঞ্জ সপ্রাবি, পশ্চিম গাব্দের গাওঁ সপ্রাবি, গাব্দের গাওঁস প্রাবি, উত্তর আলোনিয়া সপ্রাবি, ফরিদগঞ্জ বালিকা উত্তর সপ্রাবি, ষোলদানা সপ্রাবি, লড়াইর চর সপ্রাবি, মাছিমপুর সপ্রাবি, চরমঘুয়া সপ্রাবি, উত্তর কৃঞ্চপুর সপ্রাবি, উত্তর রাজাপুর সপ্রাবি, দক্ষিন বিশকাটালী সপ্রাবি, দক্ষিন লক্ষীপুর সপ্রাবি, লক্ষিপুর সপ্রাবি, চরমান্দারী সপ্রাবিগুলোতে মোট ৬ হাজার ৬শ’ ৫৬ জন ছাত্র/ছাত্রী থাকলেও রয়েছে মাত্র ৭৪টি ব্যবহার শ্রেণী কক্ষ এবং জরার্জীন শ্রেণী কক্ষ রয়েছে ৭৯টি। জরাজীর্ন ও অনুপযোগী শ্রেণী কক্ষ দ্রুত মেরামত করে শিশুদের সুন্দর ভাবে শিক্ষা লাভের সুযোগ করে দিতে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছে এলাকাবাসী।
চান্দ্রা বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফখরুদ্দিন জানান একটু বৃষ্টি হলেই ক্লাশরুম পানিতে ভিজে যায়, অনেকটা ঝুকিঁপূণ্য হয়ে গেছে ভবনটি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক গিয়াস কবীর জানান, কয়েকটি বিদ্যালয় উপরে টিন ছাড়া কিছুই নেই। অনেক গুলো ভবন পরিত্যক্ত ঘোষনা করে ভবন নির্মাণ করা জরুরী।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার ফরিদউদ্দিন জানান, আমরা ৩টি বিদ্যালয় পুনঃপ্রতিষ্ঠার অনুমতি পেয়েছি এবং আরো ১২টি বিদ্যালয় জরুরী মেরামতের বরাদ্দ হয়েছে। আরো মেরামতের বরাদ্ধ হওয়ার সম্বাবনা রয়েছে, এটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রতিটি বিদ্যালয় জরাজীর্ন ও অনুপযোগী শ্রেণী কক্ষ মেরামত করে শিশুদের সুন্দর ভাবে শিক্ষা লাভের সুযোগ করে দিতে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
শিরোনাম:
বুধবার , ১৭ আগস্ট, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ , ২ ভাদ্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।