সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট: চাঁদপুর জেলার সাথে ফরিদগঞ্জ ও রামগঞ্জ উপজেলার সাথে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হচ্ছে চান্দ্রা-মুন্সীরহাট-গল্লাক ও গল্লাক-কামতা বাজার-রামগঞ্জ সড়ক। কিন্তু ২০১৭ সালে এই সড়কের কাজ শেষ হওয়ার পর বেশ কয়েকবার সংস্কার করেও সড়কটির ভাঙন রোধ করা যাচ্ছে না। বর্তমানে বড় বড় ভাঙনে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে সড়কটি। বড় বড় গর্তে টানানো লাল পতাকাই এখন যানবাহন চালক ও যাত্রীদের ভরসা। কিছুদিনের মধ্যে বৃষ্টি শুরু হলে এই সড়কটি খুবই ঝুঁকির মধ্যে পড়বে বলে ধারণা করছেন যানবাহন চালক ও স্থানীয়রা।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, চান্দ্রা-মুন্সীরহাট-গল্লাক ও গল্লাক-কামতা বাজার-রামগঞ্জ সড়ক-এ দুটি প্রকল্পের জন্য ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সরকার ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। এর মধ্যে চাঁদপুর-চান্দ্রা-গল্লাক-কামতা বাজার-রামগঞ্জ সড়কের অবশিষ্ট সংস্কারে চাঁদপুর অংশের জন্য বরাদ্দ হয় ২৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। প্রাথমিক বরাদ্দের টাকা পেয়ে কাজ শুরু করেন ঠিকাদার। সংস্কার কাজের একটি বড় অংশ হলো মাটি দিয়ে সড়কের দুই পাশ মজবুতকরণ। কিন্তু মাটির কাজটি সঠিকভাবে না হওয়ার কারণে সড়ক নির্মাণের পর থেকে ভাঙন রোধ হচ্ছে না।
এদিকে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে এই সড়কটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাধ হলেও সড়ক নির্মাণ করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য সড়কটি নির্মাণ হলেও ফরিদগঞ্জ উপজেলা ও সদরের কিছু অংশে থাকা প্রায় ২০টিরও অধিক ইটভাটার কাঁচামাল, ইট-বালি বহনকারী ট্রাক্টরই বেশী ক্ষতিগ্রস্থ করছে সড়কটিকে। যার ফলে সড়কের সাধারণ মান আর ঠিক থাকছে না।
চাঁদপুরের সাবেক পুলিশ সুপার শামছুন্নাহার জেলা সদরসহ সকল উপজেলা সড়কে ট্রাক্টর চলাচল নিষিদ্ধ করলেও গ্রামীন এলাকায় এখন এই দানব ট্রাক্টর বন্ধ হয়নি। বহু মানুষের জীবন কেড়েছে এই ট্রাক্টর। এখন সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত গুরুত্বপূর্ণ সিআইপি সড়কটি সংস্কার ও দানব ট্রাক্টর থেকে রক্ষায় সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে দ্রুত এগিয়ে আসার আহবান ভুক্তভোগী মহলের।
চাঁদপুরনিউজ/এমএমএ/