রিফাত কান্তি সেনঃ
এই আসে, এই যায়।সব মিলিয়ে চার থেকে পাঁচ ঘন্টা বিদ্যুত পান ফরিদগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা।সন্ধ্যার পর থেকে অন্ধকারে নিমজ্জিত ফরিদগঞ্জের আনাচ-কানাচের গ্রাম গুলো। অনেকটা বাংলা সিনেমার গান,’তুমি এসেছিলে পড়শু কাল কেনো আসোনি?কাল কি আমায় বন্ধু ভালবাসো নি? ভালবাসুক আর না ই বাসুক ভোগান্তী যে মাত্রাতিরিক্ত সেটা হরহামেশা চোখ বন্ধ করে বলে দেয়া যায়। চাহিদার অতিরিক্ত বিদ্যুত পায় না বলে চাহিদা পূরণ করতে পারছে না বলে জানান ফরিদগঞ্জ জোনের ডিজিএম ‘বিদ্যুত নেই দেবো কই থিকা? আমাদের চাহিদা ১৯ মেঘাওয়াট পাচ্ছি ৫ থেকে ৬ মেঘাওয়াট। দেবো কই থিকা?’
যেনো অনেকটা দায়সাড়া জবাব।প্রশ্ন করলাম,’আপনারা কি উঁচু মহলে চাহিদার কথা জানান নি? একটু মিষ্টি হেসে চুপ করে রইলেন। গ্রাহক সংখ্যা জানতে চাইলে বলেন,গ্রাহক ৮০ হাজারের কাছাকাছি।
এতো লোকের চাহিদা কি ৬ মেঘাওয়াট দিয়ে পূরণ করা সম্ভব? বললেন,এজন্যই ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং পোহাতে হয়।
দিন দিনই নতুন সংযোগ বাড়ছে।শুধু বাড়ছে না নাকি বিদ্যুতের সরবরাহ।একের পর এক নতুন সংযোগ দিলেও চাহিদার পরিমানটা সেই শূন্যের কোঠায়ই রয়ে যায়।এতে করে ভোগান্তী গুণতে হচ্ছে সাধারন আম জনতার।
সারাদেশে যখন এক বিন্দু লোডশেডিং ছিলো না ঠিক তখনও পল্লী বিদ্যুতের ফরিদগঞ্জ জোনে ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং এর কবলে পরে থাকতো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক বলেন, সরকারের ভাল কর্ম গুলো এসব নরপিচাশদের কারণে কলঙ্কিত করছে।
বিকল্প জ্বালানী খোঁজার সময় চলে এসেছে।
অনেকটা অঁজোপাড়া গাঁয়ের মতই।দেশের অন্যান্য উপজেলা শহর যখন এগিয়ে চলেছে ঠিক তখন বিদ্যুতের লোডশেডিং এর কারণে পিছিয়ে পড়ছে উপজেলাটি।বিদ্যুতের লোডশেডিং থাকার কারণে অনেকেই ব্যবসা গুঁটিয়ে নিয়েছেন।এছাড়া তারাবী নামাজের সময় ও বিদ্যুতের দেখা মেলেনি।
সারাদেশে বিদ্যুতের ঘাটতির খবর আমরা পেয়ে থাকলে ও ফরিদগঞ্জের পল্লী বিদ্যুত যে জন্মসূত্র থেকে ঘাটতি পূর্ণ তা উক্ত উপজেলার বাসিন্ধাদের কাছ থেকেই জানা যায়।
কনফেকশনারী,আইসক্রিম ব্যবসায়ী,কম্পিটারের দোকানী থেকে শুরু করে সরকারী অফিস গুলোর কর্মকর্তারাও বিদ্যুতের লোডশেডিং এর কবলে পড়ে অতিষ্ঠ।
এমন কি গতকাল ২৮ শে মে মুসল্লিরা তারাবীর নামাজের সময় বিদ্যুত না দেয়ায় ঘেরাও করে বিদ্যুত অফিস।
একদিকে সারাদেশে তাপদাহ,তার উপর একটানা ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং এ জনজীবনে বিরাজ করছে হতাশা।
শিশু, বয়ঃবৃদ্ধ,স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী সকলেই পড়েছে বিপাকে।
কতদিন নাগাত এ সমস্যা থেকে জনগনের মুক্তি লাভ হবে এমন প্রশ্ন করার পর যেনো আরো দায় সাড়া জবাব।তারা জানে না কবে লাঘব হবে লোডশেডিং সমস্যা।
গত কয়েক দিনের লোডশেডিং এ ইলেট্রনিক ডিভাইস গুলো ও নষ্ট হতে চলেছে।চার্জের অভাবে বেশীর ভাগ সময়ই বন্ধ থাকে ডিভাইস গুলো।
অচিরেই লোডশেডিং এর কবল থেকে মুক্তি পাক ফরিদগঞ্জ বাসী এটাই প্রত্যাশা।