রাসেল হাসান
পীরের নির্দেশ থাকায় এ বছরও ফরিদগঞ্জ ১৬নং রূপসা ইউনিয়নের নারী ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যায়নি। গতকাল এ ইউনিয়নের সবগুলো কেন্দ্র ঘুরে মাত্র ৭ জন নারী ভোটারকে পাওয়া যায় যারা ভোট কেন্দ্রে এসে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। শুধু ভোটাররাই নয় বিভিন্ন কেন্দ্রের নারী বুথে যে ক� জন নারী এজেন্ট রয়েছে তারা পর্যন্ত ভোট দেয়নি। ফরিদগঞ্জ গৃদকালিন্দিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় এমন অদ্ভূদ দৃশ্য। প্রিজাইডিং অফিসার বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও ভোট দিতে রাজি হয়নি পারভিন আক্তার ও শাহীনুর আক্তার নামের দু� নারী এজেন্ট। তারা বলেন, আমাদের এ অঞ্চলের ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচনেও মহিলা প্রার্থীরা পর্যন্ত নিজেদেরও ভোট নিজেরা দেন না সেখানে আমরা কেনো আমাদের ভোট দিয়ে সমালোচনায় পড়বো। একই ইউনিয়নের চরমান্দারী ভোট কেন্দ্রে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে একজন নারী ভোটারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। জানা যায় তিনি ঐ অঞ্চলের স্থানীয় মহিলা মেম্বার। তিনি ভোট দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে বলেন, কেউ ভোট দেয়নি তাই আমিও ভোট দেইনি। ভোট কেন্দ্রের নারী বুথে ঢুকে জানা যায় একদম সকালে ভোট শুরু হওয়ার সাথে সাথে ৩ জন ভোটার এসে চুপিসারে তাদের ভোট দিয়ে যায় তারা সকলেই এক পরিবারের সদস্য। একই দৃশ্য দেখা যায় ফরিদগঞ্জ কাউনিয়া শহীদ হাবিব উল্যা উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেখানকার নারী এজেন্ট বিলকিছ আক্তার ছাড়া ঐ কেন্দ্রের আর কোনো নারী ভোটার ভোট দিতে যায়নি। কাউনিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কেউ ভোট দিতে না আসলেও বিকেল ৪টা পর্যন্ত আরও ৩ জন নারী ভোটার ভোট দিয়েছেন বলে জানা যায়। এ বিষয়ে স্থানীয় ক� জনের সাথে কথা বললে তারা জানায়, কেউ যদি পীরের আদেশ অমান্য করে ভোট দিতে আসেন তবে সে যে কোনো বিপদে পড়বে অথবা তার কোনো নিকটাত্মীয় মারা যাবে এমন বিশ্বাস থাকায় ভয়ে কেউ ভোট দিতে আসছে না। এ বিষয়ে গৃদকালিন্দিয়া ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার বলেন, আমরা পূর্বে থেকেই জানি এ কেন্দ্রে কোনো নারী ভোটার ভোট দিতে আসবেন না। তারপরও আমরা আমাদের সকল প্রস্তুতি রেখেছি। সারাদিন আমাদেরও নারী বুথের কর্মকর্তারা অলস সময় পার করেছেন। কোনো ভোটার আসলে আমরা অবশ্যই তাদের ভোট নিতাম।
শিরোনাম:
সোমবার , ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২৮ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।