শাহরিয়ার খান কৌশিক ॥
চাঁদপুর পৌরসভাধীন ১৪নং ওয়ার্ড খলিসাডুলি গ্রামে চাঁদপুর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের লাইব্রেরী সহকারী নুরুনাহারকে স্বাসরুদ্ধ ও নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আনোয়ার খলিসা ডুলি গ্রামের মৃত জব্বার গাজীর ছেলে কুদ্দুছ গাজী (৬০), তার ছেলে সালাহউদ্দিন ওরপে সুজন গাজী(২৫) ও স্ত্রী নুরজাহান ওরপে মনোয়ারা বেগম (৫০) কে আটক করেছে। গতকাল ২৪শে ডিসেম্বর মঙ্গলবার নিহত নুরুনাহারের ছেলে মোস্তফা বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৩৬ তাং-২৪-১২-১৪ইং ধারা-৩০২/২০১/৩৪। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বিগত কয়েকবছর জায়গা সম্পত্তির বিরোধ নিয়ে নিহত নুরজাহানের পরিবারের সাথে তার চাচা সেরাজুল মিজির মেয়ে আসামী মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা চলমান অবস্থায় মৃত নুরুনাহারের বাবা বিষ্ণুদীর কাদের মিজি মারা যায়। বিগত ১৪ বছর যাবত নুরুনাহার চাঁদপুর সরকারি কলেজের সহকারী হিসেবে চাকরী নেয়। ঘটনার দিন ২২ শে ডিসেম্বর সোমবার দুপুর ১২টায় নুরজাহান তার ছোট মেয়ে নুসরাত আক্তার (৮) ও নাতনী সামিয়া আক্তার (৮) কে নিয়ে অসুস্থ জেঠি মনোয়ারা বেগমের মা জোবেদা খাতুন কে দেখতে আসে এসময় প্রথিমধ্যে তার ছোট বোন রোকেয়া বেগমের বাড়িতে যান। সেখানে মেয়ে ও নাতনীকে রেখে দধির পাতিল নিয়ে জেঠি জোবেদা খাতুনের বাড়িতে যায়। কিন্তু সেখান থেকে বোনের বাড়িতে না ফেরায় বোন রোকেয়া বেগম জেঠি জোবেদা খাতুনের বাড়িতে গিয়ে খবর নেয়। এসময় জেঠি জোবেদা খাতুন ও তার মেয়ে মনোয়ারা বেগম জানায়, নুরনাহার বাড়িতে এসে কিছুন থাকার পর চলে যায়। তারপর থেকে নুরুনাহারকে কোথায় না পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় গিয়ে একটি সাধারণ ডায়রী করা হয়। জিডি নং-৯১০ তাং-২২-১০-২০১৪। পর দিন ২৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার খলিসাডুলি গ্রামের চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার তদন্ত ওসি চন্দ্রনের বাড়ির সামনে খালে মৃত অবস্থায় নুরুনাহারকে পথচারী স্থানীয় কবির প্রধানিয়া দেখতে পেয়ে পুলিশ কে খবর দেয়। খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আনোয়ার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত হয়ে সুরতাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাস থানায় নিয়ে আসে। এসময় হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৩জন কে আটক করে পুলিশ। আটকৃতদের ঘটকাল বুধবার আদালতে প্রেরন করলে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হত্যার রহ্যউদঘাটন করতে ও ঘটনার সাথে জড়িতদের আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি অবলম্ব করে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।