গাজী নাছির :
ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রেই পরীক্ষা দিলেন আলীয়া মাদ্রাসার পরীক্ষার্থীরা। গতকাল এ বিষয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিবযুর রহমান ব্যস্ত্মতা থাকায় মন্ত্মব্য করতে অপারগতা জানিয়েছেন। তবে তিনি দাবি করে বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস হবার ঘটনায় জড়িত শিÿকদের বিরম্নদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গতকাল স্থানীয় পত্রিকায় ‘হাজীগ্ঞ্জ আলীয়া মাদ্রাসার দাখিল ও জেডিসি নির্বাচনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস’- শিরোনামে সংবাদটি প্রকাশিত হয়।
সংবাদ প্রকাশের পরও কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি। গতকাল অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, মাদ্রসায় আজ (গতকাল) অডিট চলছে। তাই প্রশ্নপত্রের বিষয়টি মুখ্য বিষয় নয়।
উলেখ্য, পরীক্ষা শুরু হবার পর থেকে পরীক্ষার্থীদের মাঝে হাজার হাজার টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন হাতবদল হয়েছে। প্রশ্নপত্রের কেনাবেচার সাথে জড়িত একাধিক পরীক্ষার্থী জানিয়েছেন এই প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় সরাসরি জড়িত ও মুলহোতা মাদ্রসার ইংরেজী বিভাগের শিক্ষক কাজী মোরশেদ আলম।
গত ১১ অক্টোবর থেকে দাখিল ও জেডিসি পরীক্ষা শুরু হয়ে ৪ টি বিষয় সম্পন্ন হয়েছে। বাকী রয়েছে গণিত, আরবীসহ ৭ বিষয়ের পরীক্ষা। গতকাল ১৭ অক্টোবর বুধবার আরবী দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা। সকাল ৯ টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২ ঘটিকার পর্যন্ত্ম এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
গোপন সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষার্থীদের মাঝ থেকে বিশ্বস্ত্ম ছাত্রকে দিয়ে ওই প্রশ্ন ফাঁস করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ফাঁস হওয়া আজকের আরবী দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার প্রশ্নে দেখা গেছে বাংলা থেকে আরবী অনুবাদে রয়েছে- ধুমপান সাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। রচনা রয়েছে নামাজ/ দেশপ্রেম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরীক্ষার্থী গতকাল রাতে জানিয়েছেন, মাদ্রাসার শিক্ষক কাজী মোরশেদ আলমের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে এই চুক্তি হয়। ওই ছাত্র থেকে প্রতিদিন পরীক্ষা শেষ হবার পর পরই কয়েকজন ছাত্র এসে প্রশ্নপত্র নিয়ে যায়। ওই দুই/ তিন জন ছাত্র অন্যান্য পরীক্ষার্থীদের মাঝে তা বিতরণ করে ।
শিরোনাম:
মঙ্গলবার , ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২৯ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।