ঢাকা: রাজধানীর পূর্বরাজাবাজারে নিজ বাসায় বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের নেতা মাওলানা শায়খ নূরুল ইসলাম ফারুকী খুনের ঘটনায় পিস টিভির উপস্থাপক মুজাফফর বিন মহসিনের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার ডিবি পুলিশের পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন আকন্দ আসামিকে আদালতে পাঠিয়ে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তারেক মইনুল ইসলাম ভুইয়ার আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর ফারুকী খুনের ঘটনায় জামায়াতে ইসলামীর রোকন তারেক মনোয়ারসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্য ফ্রন্টের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সেনার সাধারণ সম্পাদক ইমরান হুসাইন তুষার ঢাকার সিএমএম আদালতে ওই মামলা দায়ের করেন।
ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে পরে দেয়া আদেশে এটিকে এজাহার হিসেবে গণ্য করে একই ঘটনায় ইতোপূর্বে শেরে বাংলানগর থানায় নিহতের ছেলে ফয়সাল ফারুকীর দায়ের করা মামলার সাথে একত্রে তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলার অপর আসামি হলেন- নরসিংদী জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর কামাল উদ্দিন জাফরী, দিগন্ত ও পিস টিভির উপস্থাপক কাজী ইব্রাহীম, এটিএন বাংলার ইসলামী অনুষ্ঠানের উপস্থাপক আরকানুল্লাহ হারুনী, আর টিভি ও রেডিও টুডের ইসলামী উপস্থাপক খালেদ সাইফুল্লাহ বখশী ও বাংলা ভিশনের কোরআনের আলো অনুষ্ঠানের উপস্থাপক মুখতার আহমদ।
গত ২৭ আগস্ট সন্ধ্যায় শেরে বাংলানগর থানাধীন ১৭৪ পূর্ব রাজাবাজারে নিজ বাসায় খুন হন ফারুকী।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে ফয়সাল ফারুকী শেরে বাংলানগর থানায় দণ্ডবিধির ৩৯৬ ধারায় ডাকাতিপূর্বক হত্যার অভিযোগে একটি মামলা করেন।
আদালতে করা মামলার বাদী নিহতের ছেলে অভিযোগ করেন, নূরুল ইসলাম ফারুকীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। অথচ থানা ডাকাতি করতে গিয়ে হত্যা হয়েছে ধারায় মামলা নিয়েছে।
তিনি মামলায় আরও অভিযোগ করেন, ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে সুনামগঞ্জে জামায়াত শিবিরের উগ্রপন্থিরা তাকে হত্যার চেষ্টা করে। ২০১২ সালে ময়মনসিংহের ত্রিশালে কাজী ইব্রাহিম তাকে হত্যার হুমকি দেয়। গত ২২ আগস্ট ‘অ্যাসোসিয়েশন অব ইসলামী মিডিয়া পারসোনালিটি’ আয়োজিত এক মিটিংয়ে আসামি তারেক মনোয়ার বলেছিলেন, ‘আমরা সবাই এক থাকলে ফারুকীর মত শেরেকী বেদাতের গোষ্ঠীকে পুড়িয়ে মেরে ফেলা যাবে। তাই ফারুকীর হত্যাকাণ্ড ডাকাতি নয় পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।