গত চার বছরের ক্রমাগত প্রচারনা অবশেষে বিশ্বকাপের মিলন মেলা গত কাল মহা সমারোহে শেষ হয়েছে। বিশ্বের সকল মিডিয়ার সরব প্রচারনা বিশ্বের প্রায় ২০০ কোটি লোক বিশ্বকাপ খেলা উপভোগ করতে পেরেছে। জার্মানি এ নিয়ে চার বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান হয়েছে। ১৯৯০ এর ফাইনালে, ২০১০ এর কোয়ালিফাইনালের প্রতিশোধ নিতে ব্যর্থ হয়েছে মেসিরা। তাই মেসির বিশ্বকাপ জয় অধরাই রয়ে গেল। কিন্তু বিশ্ব কাপে মাতোয়ারা যখন বিশ্ববাসী, ইমানদারীরা যখন ব্যস্ত তাদের রোজ পালনে, ইফতারীতে কত সমারোহ, আর ইফতারীয় বৈচিত্রের ফাঁকে হৃদয় গলানো অমানবিক অনেক ঘটনা ঘটে যাচ্ছে ফিলিস্তানের গাজায় মানবজাতির মাঝে সবচেয়ে নিকৃষ্ট জাতি কর্তৃক মুসলমানদের উপর ক্রমাগত হামলায় মনটাই খারাপ যে ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। কিছু মানুষের মানসিক শক্তিতে কন্টোল করাটা একটা বিশাল বোঝা হয়ে দাড়ায় যে তখন তার আর বোধ শক্তি থাকে না বলার, শুনার বা অনুধাবন করার। তার আর দেখার ক্ষমতা থাকে না বা দেখতে চায় না তার পর দেখতে হয়। গাজায় শতাধিক লাশের সাথে কয়েকটি শিশুর লাশের ছবি এতটা বিভৎস যে মনে হয় পরম করুনাময়ের নিকট প্রার্থনা করি যে আমার দৃষ্টি শক্তিটা কেড়ে নিতে পারতে এই দু:দশ্য দৃশ্যটা দেখার আগে, এমনিতে ইবাদত বন্দেগীতে থাকাটা আজ কাল আর হয় না, আমাদের ইমানী শক্তি আজ দুর্বল । আমাদের বিবেক আর আর জাগ্রত নেই, ঘুমের ঘোরেই থাকে আমাদের বিবেক। কিন্তু কখনও কখনও সেটা জাগ্রত হয়ে, কিন্তু অহনিশ হয়ে জলতে থাকে প্রত্যেকের হৃদয়ে, আবার পাশান হৃদয় সেটা উপভোগ করতে ও ব্যস্ত থাকে। গাজায় যে ভয়াবহ হারে ইতিহাসে বর্বরতম হামলা চালানো হল তাই নয় সেখানে নিষ্পাপ শিশুদের হত্যা করা হলো। তা বলাই বাহুল্য অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ গুলোর সব গুলোই ফিলিস্তানের উপর ঘটাচ্ছে ইসরালীরা।
ইহুদিদের আমরা চিনি বা জানি সেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই হিটলার যখন ইহুদিদের হত্যার মিশনে নেমেছিলেন তখন হিটলার বন্দুকের গুলি খরচ করতে চান নি, হিটলারের কাছে বন্দুকের গুলির চেয়ে ইহুদিদের মূল্য অনেক কম হওয়ায় তিনি গ্যাস চেম্বার বানিয়েছেন। তাকে পরাজয় বরন করতে হয়েছিল বিশ্বযুদ্ধ হওয়ার কারনে সেখানে তার বিরুদ্ধ শক্তির সামর্থ্য, শক্তির কাছে। কিন্তু ইতিহাস তাকে যতটা নির্দয় ভাবুন না কেন যুগ যুগ ধরে তিনি আলোচনায় এসেছেন তার কৃত কর্মের কারনে তার কুখ্যাত মহান উক্তি “ আমি সকল ইহুদিকে হত্যা করিনি কারন কিছু বাচিয়ে রেখেছি যাতে তাদের কর্মকান্ডে মানুষ বুঝতে পারে কেন তাদের হত্যা করার জন্য আমি এত নির্দয় হয়েছি” আজ আবার তাকে আমাদের ভাচুয়াল জগতে নিয়ে এসেছে, বিজ্ঞানের যুগেও একজন হিটলারের প্রয়োজনীয়তা, একজন হিটলারের আর্বিভাব, একজন হিটলার কেন প্রয়োজন, তা আমাদেরকে হিটলারের নির্মম স্বীকার হওয়া ইসরাইলীরা প্রমান করছে। পৃথিবীর প্রতিটা ঘরে এভাবে মানবতা বিঘিœত হয়, আবার হিটলার ও জম্ম গ্রহন করে। কখন এই হিটলারের জম্ম হয় বৃহৎ পরিসরে আবার কখনও নিভৃতে, কখনও হিটলারের গর্জন হয়, কখনও সেই রকম হয় না। সেই ১৯৪৮ সাল ফিলিস্তানীরা থেকে নিজেদের দেশ থেকে বিতারিত। কয়েক দশক ব্যাপি একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলে আসছে। ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত নিজেদের দেশেই পরবাসী হয়ে থাকতে হয়েছে। ১৯৯৩ সালে অসলো চুক্তির মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান করার চেষ্ঠাটি মার্কিন আদিপত্যে লোপ পায়। সে যুদ্ধটিকে মিডিয়া ইস্রাইলের বিরুদ্ধে হামাসের যুদ্ধ বলে প্রচারনা চালায়। কিন্তু ফিলিস্তানীরা নিজ দেশে ইস্রাইল কতৃক বিতারিত। সেখানেও তারা মার্কিন ইহুদিবাদীদের পক্ষেই সাফাই গায় সব সময়। ইসরাইলিরা ইতিমধ্যে প্রমান করেছে মানব জাতি আর ইহুদি জাতির মধ্যে প্রার্থক্য।
আমাদের কে ১৯৭২ সালে স্বীকৃতি দিয়েছিল ইসরাইল কর্তৃপক্ষ। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে চিঠি ও দিয়েছিল। কিন্তু জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর বিচক্ষনতায় আমাদের সাথে তাদের সর্ম্পক টিকে রাখা হয় নি। আজ অবধি গর্ব অবশ্যই আমরা করতে পারি, নরপশুর জাতি ইহুদি দের সাথে আমাদের নূণ্যতম কোন সর্ম্পক নেই।
অন্যদিকে ব্রাজিল জুড়ে ফুটবল মহাযজ্ঞের প্রচারে আমাদের মিডিয়া, পাশ্চ্যাত্যের মিডিয়া আমরা সাংবাদিকরা, তথা সকল সকল মানুষ নামের প্রানীগুলো যতটা উৎসাহি ছিলাম, কে কিভাবে বিশ্বকাপের রঙ্গে নিজেদের রাঙ্গাব তাতে আমরা নিজেরা অস্থির হয়ে গেছি, তারা নিজেরাও জানেন না কিভাবে রাঙ্গালে এই রঙ্গিন মহাযজ্ঞে নিজেকে সামিল করা যেত। অথচ গাজায় আমার আপনার ছোট নিষ্পাপ শিশুটির মত কত না শিশু কি না নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হচ্ছে হচ্ছে তা আমরা নিজেরা যেমন করে অনুভব করতে চাই না, তেমনি করে কাহকে উৎসাহ দেই না। তার ভয়াবহতা বিশ্বের শান্তিকামী মানুষের কাছে সেই মানবতার বানি পৌছাতে, আজ আমরা অন্ধহয়ে গেছি তাই গাজার ভয়াবহতা আমাদের চোখে স্পর্শ করে না, আমাদের কান সেই কন্দন শোনে না। আমাদের ইমানী শক্তি, মনুষ্য শক্তি, মানবতা, আমাদের বিবেক আজ আর আমাদের মাঝে নেই।
আজ আমরা যারা নিজেদেরকে মানবতার পুজারী বলে দাবী করে, মানব বলে মনে করি, যে সব মানবধিকার সঙ্গ রয়েছে বিশ্ব জুড়ে তাদের কাজ কি, তাদের মানবতায় ভূমিকা কি তা নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক।
পশ্চিমা বিশ্বের পৃষ্টপোষকতায় অনেক মানবধিকার সংগঠন ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে যারা মানবধিকার রক্ষার দাবিতে অত্যন্ত সোচ্ছার। তারা মূলত পশ্চিমা বিশ্বের তাবেদারী করা, বিভিন্ন সংঘাত এ তাদের মতবাদ তুলে ধরা। এর অন্যতম কারন অর্থনৈতিক পর-নির্ভরশীলতা, আতœসমৃদ্ধির অভাব ও নিজেদের সামরিক, আর্থিক, রাজনৈতিক
। তাছাড়া কিছুটা রাজনৈতিক দেউলিয়াপনাও এর জন্য দায়ী। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ কিছু দেশে শাস্তি হিসাবে মৃত্যূ দন্ডাদেশ বাতিল করা হয়েছে। মনে করা হয় যে মানুষের জীবন তো একটাই। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছাতে একজন এ বিশ্বে আসে এবং তার ইচ্ছাতে চলে যায়। অতএব মানুষের বিচারে প্রান কেড়ে নেওয়ার মত চরম শাস্তি দেয়া ঠিক নয়। মানবধিকার রক্ষাকারীদের আর একটি জিনিস বিশেষ করে দায়িত্ব, তাহলো বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যার বিরোধীতা করা, কিন্তু সেটা তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না যদি না সেখানে তাদের স্বার্থ বিঘিœত হয়। আমাদের দেশে অপারেশন ক্লিন হার্ট নামে একটি অভিযান সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে হয়েছিল। এছাড়া আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বিভিন্ন সময় অভিযান চালানোর সময় ক্রশ ফায়ারের নামে হত্যাকান্ড ঘঠেছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে এধরনের সন্দেহজনক এবং গ্রহনযোগ্য নয় এরকম ঘঠনা ঘটা মোটেই বাঞনীয় নয়। রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা কিংবা সুষ্ঠভাবে রাষ্ট্র পরিচালনায় অসামজ্ঞসতা এধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। কিন্তু আমরা যখন দেখি বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সুষ্ট বিচার হয়ে কাদের মোল্লাকে ফাঁসি দেওয়া হলো তখন মানবধিকার লংঘনের প্রশ্ন তোলা হয়। জাতি সংঘের মহা সচিব দুঃখ পেয়েছেন। ১৯৭১ সালে আরেকজন এশিয় জাতি সংঘের মহাসচিব ছিলেন। তিনি বার্মার উ থান্ট। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে গনহত্যা চলছিল। এই গনহত্যার কথা পাকিস্তানের বইতে পাওয়া যায়। বিশ্বখ্যাত অর্থনৈতিক সাপ্তাহিক দি ইকোনমিষ্ট এর বর্ষসেরা বইগুলোগুলির একটির নাম ঞযব ইষড়ড়ফ ঞবষবমৎধস ঘরীড়হ, করংংবহমবৎ ধহফ ঋড়ৎমড়ঃঃবহ এবহড়পরফব বলা বাহুল্য পাকিস্তান কর্তৃক বাংলাদেশে সংগঠিত গনহত্যার কথা বলা হয়েছে। কিন্ত সে সময় জাতিসংঘের মহাসচিব এতটুকু দুঃখ প্রকাশ করেন নি। এরপরও আমরা পশ্চিমা বিশ্বের মানবধিকার রক্ষার বিষয়টি নিয়ে এত উদ্ধেগের গুরুত্ব দিতাম যদি দেখা যেত তারা এ ব্যাপারে আন্তরিক এবং কোন পক্ষপাত মূলক আচরন করছেন না করত। সেটাই দেখার বিষয়। এ প্রসঙ্গে ভারতের প্রতিবাদী নেত্রী অন্ধরুতি রায়ের একটি উক্তি মনে পড়ল। নানা ছলনার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইরাকে সামরিক অভিযান চালানো হয় এবং তারা দেশটি দখল করল। প্রধান অজুহাত ছিল যে ইরাকের তৎকালীণ প্রেসিডেন্ট সাদ্দামের কাছে গনবিধংসী অস্ত্রের পাহাড় রয়েছে। পরে দেখা গেল যে কিছুই নেই। তখন যে বক্তব্য আনা হলো, তা হলো ইরাক গনতন্ত্র কায়েমের জন্য ঐ দখল। যদিও ইতিহাসে অনেক নজির রয়েছে যে, বহুগনতন্ত্র হরন কারী সরকারকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা সাহায্য করেছে। আমরা নিজেরা ভূক্তভোগী। পাকিস্তানের সামরিক শাসক যখন পুর্ব পাকিস্তানে গনহত্যা চালাচ্ছিল যেন গনতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত দল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় না আসে। সে সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সন জেনারেল ইয়াহিয়াকে সমর্থন দিয়েছিলেন। অন্ধরুতি রায় অত্যান্ত ক্ষুদ্ধ হয়ে ইরাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একটি তথ্যবহুল নিবন্ধন লিখেছিলেন। সেখানে একটি বাক্য ছিল উবসড়পৎধপু রং ঃযব ভৎবব ড়িৎষফ যিড়ৎব. ১৯৯০ সালে সোভিয়েত গোষ্টির পতনের পর এখন ইউনিপোলার বিশ্ব। অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অপ্রতিরোধ্য একক ক্ষমতাধর। তবে সম্প্রতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন কিছুটা অন্তরায় হয়ে দাড়িয়েছেন। তাকে সংগ দিচ্ছে চীন এবং ভারত। এটি শুভ লক্ষন। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পূর্ব পর্যন্ত বিশ্ব দুই ভাগে বিভক্ত ছিল। একটি সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক বিশ্ব। অপরটি মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রের নেতৃত্বে যাকে তারা মুক্ত বিশ্ব বলে অভিহিত করে। অন্ধরতি রায় ব্যাঙ্গাতœক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে অনাকাংখিত শব্দটি ব্যবহার করেছেন। শুনতে খারাপ লাগলে ও খুবই তাৎপর্য্য বহন করে বাক্যটি। মানবধিকার বক্তব্যটিও কি তথৈবচ। একটু আলোচনা করলে বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যাবে। সাদ্দাম গ্রেফতার হলেন। তিনি একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের প্রধান ছিলেন। গ্রেফতারের পর আইন অনুযায়ী যথাযথ মর্যাদা দিয়ে তাকে বন্দি করে রাখার কথা। তাকে গ্রেফতার করার পর তার দাঁত নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন মার্কিন সামরিক কর্তৃপক্ষ। টেলিভিশনের পর্দায় বারবার দাঁত পরীক্ষা দেখানো হলো যেন সাদ্দাম একজন জোকার। তাকে সর্বোত ভাবে হেয় করার জন্য এ দৃশ্য দেখানো হয়। এর পর বিচারের নামে প্রহসন করে তাকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করা হল এবং ঈদের দিন ফাঁসি দেওয়া হলো। পশ্চিমাদেশগুলো কি তার মৃত্যু দন্ডাদেশ রহিত করার নূণ্যতম প্রচেষ্টা দেখিয়েছিল । বলা বাহুল্য ইরাক সরকারতো তাদের বদৌলতে ক্ষমতাসীন হয়েছে। মানবধিকার লংঘনের প্রশ্নটি আদৌ কারো মাথায় এলোনা কেন?
লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট মুয়াম্মার গাদ্দাফি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলাসের সাকোজির জন্য নিজের ব্যক্তিগত বিমান দিয়েছিলেন, সারকোজির ইলেকশনের জন্য বিশাল অংকের অর্থ সাহায্য দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যখন পশ্চিমা স্বার্থ ক্ষুন্ন হয় তখন লিবিয়ার প্রেসিডেন্টকে হত্যার পর একটি টু শব্দও করা হয় নি।
। মার্কিন নাগরিকদের বড় ক্ষোভ এবং জ্বালা বিন লাদেনের উপর। তাদের অহমিকায় প্রচন্ড আঘাত হেনেছিল বিন লাদেনের বাহিনী। তৎকালীণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশ কয়েক ঘন্টার জন্য গৃহহীন হয়েছিলেন। কেননা লাদেন বাহিনীর আঘাত কোথায় না হানতে পারে এই আশংকা। আতংকিত হয়ে সে দেশের বিমান বাহিনী কয়েক ঘন্টা আকাশে উড়ছিল। এই লাদেন অবশ্য তাদের সৃষ্টি। যাক সে কথা। চালক বিহীন ড্রোন বিমান হামলায় নিরীহ মানুষ মারা গেলে তখন মানবধিকার লংঘন হয় না।
তাই এই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক যে পশ্চিমা বিশ্বের মানবধিকার লংঘন নিয়ে কথা বলার ভেতর কতটা আন্তরিক, আর কতটা শঠতা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মানবধিকার সংগঠন হিউমেন রাইটস ওয়াচ বাংলাদেশের গন হত্যায় বিচারের পক্ষে না গিয়ে তারা অত্যান্ত খোলাখুলি ভাবে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। সেটা সবার কাছে পরিষ্কার হয়েছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সাবেক সদস্য মিঃ কাসাকা আর্ন্তজাতিক ফোরাম পঠিত তার লিখিত নিবন্ধে এ অভিযোগ উর্ত্থাপন করেছেন। ইতিপূর্বের ধারাবাহিকতায় দু চারটি ছাড়া বাকি সকল আর্ন্তজাতিক মানবধিকার সংগঠন গুলো তাদের প্রভূ পশ্চিমাদের স্বার্থই সব সময় দেখে থাকে। মানবধিকার সেখানে কোন কথা নয়, শুধু মাত্র কায়েমী স্বার্থের জন্য মূখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে।
পরিশেষে এটাই পরম করুনাময়ের কাছে প্রার্থনা করবো, আরো একজন নির্মম, নিষ্টুর হিটলার জম্ম হোক ফিলিস্তানের গাজায় নয়তো অন্য কোথাও, যার প্রেরনায় উদ্ভূত হয়ে মানব জাতিকে ইহুদি জাতির হাত থেকে রক্ষা করতে পারে, আর প্রমান করতে পারে মানব জাতির আর ইহুদি জাতির প্রার্থক্য।
সংবাদকর্মী মোঃ রেজাউল হক
শিরোনাম:
রবিবার , ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১৩ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।