কচুয়া (চাঁদপুর)সংবাদদাতা: অবিলম্বে ফিলিস্তিনি গণহত্যা বন্ধ ও তাদের আবাসভূমি ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে কচুয়ায় বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ মুসলিম তাওহিদী জনতা।
বুুধবার (১৯ মে) দুপুরে কচুয়া উপজেলার সাচার বাজারে এই বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সাচার বাজার নুরানী হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার মুহতামিম এবং সাচার বজার আস সফা জামে মসজিদের খতীব মাওলানা দেলোয়ার হোসনের সভাপতিত্তে বক্তব্য রাখেন- সাচার ইউপি চেয়ারম্যান মনির হোসেন, মাওলানা মনির হোসেন হেলালী, মাওলানা এডভোকেট আবু তাহের মিসবাহ, মাওলানা দেলোয়ার হোসন, মাওলানা মাসুম বিল্লাহ মাদানী, মাওলানা ওবায়েদুল হক, সোহেল হোসেন প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তাগণ বলেন , গত সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলী বাহিনী গাজায় ৫২ শিশুসহ প্রায় দু‘শ গাজাবাসিকে হত্যা করেছে । আহত হয়েছে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। গুরিয়ে দেয়া হয়েছে হাসপাতাল, বাড়িঘর, মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ আল-জাজিরা ও এপি এর কার্যালয়। দীর্ঘ প্রায় ৭৩ বছর ধরে ইসরায়েল অবৈধভাবে স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের উপর আগ্রাসন চালিয়ে ও তাদের আবাসভূমি দখল করে প্রতিষ্ঠিত করেছে ইসরায়েলী জায়নবাদী রাষ্ট্র । দখলদার ইসরায়েলী বাহিনীর গুলি, বোমা হামলা ও নির্যাতনে এ সময়কালে হাজার-হাজার নারী-পুরুষ-শিশু মৃত্যুবরণ করেছে । যা এখনও চলছে । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের এই সন্ত্রাসী তৎপরতায় প্রত্যক্ষভাবে মদদ জুগিয়ে যাচ্ছে । এ প্রশ্নে ট্রাম্প-বাইডেন কোনো তফাৎ নাই। জাতিসংঘ ও ওআইসি শুধু নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়েই তাদের দায় সেরেছে । সৌদিআরব, আরব আমিরাত সহ মধ্যেপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলো এই নৃশংস হামলার ঘটনায় নিশ্চুপ। প্যালেস্টাইনের ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ মুসলমান। সেকারণে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানরা আশা করেছিল মুসলিম দেশগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সমস্যার সমাধান করবেন। কিন্তু তা হয় নি, হবার সম্ভাবনাও নাই।
বক্তারা আরও বলেন , মার্কিন সা¤্রাজ্যবাদ মধ্যপ্রাচ্যে ইজরাইল ও সৌদিআরবকে দিয়ে সবসময় একটা অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে রাখতে চায়। যাতে তারা মধ্যপ্রাচ্যে তাদের অস্ত্রের বাজার রমরমা রাখতে পারে, তেলসম্পদসহ প্রাকৃতিক ও খনিজসম্পদ লুটপাট করতে পারে । নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এই হামলা ও গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানান। সেই সাথে এই বর্বর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্যালেস্টাইনের পক্ষে শক্তিশালী অবস্থান নেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতিও আহ্বান জানান ।
অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে সমাবেশে প্রায় ২০ হাজারের বেশী মানুষ উপস্থিত হয়ে ফিলিস্তিন মুক্ত কর, ইজরাইলী গণ হত্যা, সন্ত্রাসী হামলা বন্ধ কর, ইজরাইলী পন্য বর্জন কর শ্লোগানে প্রকম্পিত হয় সাচার বাজার।