চাঁদপুর:
চাঁদপুর-শরীয়তপুর রুটে বর্তমানে ১টি ফেরি দিয়ে চলছে ফেরি পারাপার। বন্দর নগরী চট্টগ্রাম হতে শুরু করে বেনাপোল রুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী গাড়িগুলো এ ফেরিঘাট দিয়ে চলাচল করে বেশি। খুব অল্প সময়ে এ রুট দিয়ে দেশের এ প্রানত্দ থেকে অপর প্রান্তে পৌঁছা যায় সহজেই। এ কারণেই গাড়ি চালকরা এ ফেরিঘাট দিয়ে তাদের মালবাহী গাড়িগুলো নিয়ে আসে পারাপার হওয়ার জন্য। বিআইডব্লিউটিসি থেকে ৩টি ফেরি যথাক্রমে কিশোরী, কস্তুরী ও করবী ফেরি দেয়া হয়। গত এক সপ্তাহ ধরে ফেরি ‘কিশোরী’ ও শুক্রবার থেকে ‘কস্তুরী’ ফেরির ইঞ্জিনে মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয়ায় দু’টি ফেরিই এখন বন্ধ রয়েছে। একমাত্র করবী ফেরি দিয়ে কোনো রকম দু’ পাড়ে আটকে পড়া কিছু কিছু গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম থেকে যাত্রীবাহী বাসে পারাপার হওয়া খুলনা ও যশোরগামী যাত্রীরা ফেরিঘাটে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হচ্ছে।
রোববার হরিণা ফেরিঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায় শ’ শ’ মালবাহী গাড়িসহ ছোট-বড় অনেক গাড়ি আটকা পড়েছে। আটকে পড়া কয়েকটি গাড়ির ড্রাইভার জানান, চাঁদপুর হরিণা ফেরিঘাট ও শরীয়তপুরের নরসিংহপুর ফেরিঘাটে গত কয়েকদিন ধরে ফেরির সমস্যা অনেক। গাড়ি রাস্তার মধ্যে পড়ে রয়েছে। চালকরা আরো ক্ষোভের সাথে বলতে থাকেন, অনেকদিন আগেই আমরা জেনেছি হরিণা ফেরিঘাট থেকে নরসিংহপুর ফেরিঘাট পর্যনত্দ মাঝখানের চর কেটে ফেরি চলাচলের জন্য একটি ব্যবস্থা করা হবে। বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ তাদের খামখেয়ালিপনার কারণে নদীর মধ্যে কোনো বয়া-বিকন বাতি দিচ্ছে না। এতে করে আমাদের অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। তারা যদি মাঝখানের চরটি কেটে দেয়ার ব্যবস্থা করে দিতো তাহলে এপার থেকে ওপার যেতে গাড়ি নিয়ে একটি ফেরির মাত্র দেড় ঘণ্টা সময় লাগতো। বর্তমানে হরিণা ফেরিঘাট থেকে ৮টি বাস বা মালবাহী গাড়ি নিয়ে ছাড়লে নরসিংহপুর ফেরিঘাটে পৌঁছতে ফেরিগুলোর প্রায় ৩ ঘণ্টার মতো সময় লেগে যায়। এতে আমরা গাড়ি নিয়ে নির্দিষ্ট সময় মতো পৌঁছতে পারি না।
চাঁদপুর-শরীয়তপুর রুটে ফেরি ঘাটের ব্যবস্থাপক মোঃ ইমরানের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, এ ঘাটে চলাচলকারী ফেরি কিশোরী ও কস্তুরীর ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেয়ায় বন্ধ রয়েছে। ১টি ফেরি করবী দিয়ে দু’ পাড়ের গাড়িগুলো পারাপার হচ্ছে। এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যানকেও জানানো হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকায় হেড অফিসে জরুরি বৈঠকে এ ব্যাপারে আলোচনা করা হবে বলে তিনি জানান।