আমাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয়া হবে এবং আমি মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত। এমন বার্তা দিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন সাড়া ফেলে দেওয়া চিকিৎসক ডা. জাহাঙ্গীর কবির।
গতকাল বুধবার নিজের ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেন ডা. জাহাঙ্গীর কবির।
সবাইকে নতুন ইংরেজী বছরের সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি লেখেন, আমাকে থামানোর একটাই উপায়—মেরে ফেলা।
তবে কে বা কারা তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন সে কিষয়ে স্পষ্ট করে কিছুই লেখেননি তিনি।
উল্লেখ্য, ডা. জাহাঙ্গীর কবির একজন ফ্যামিলি মেডিসিন, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা এবং শ্বাস- রোগ বিশেষজ্ঞ।
তিনি বর্তমানে ইন্টারন্যাশনাল প্রাইমারি কেয়ার রেসপিরেটরি গ্রুপ, বাংলাদেশ (আইপিসিআরজি) এর যুগ্মসম্পাদক।
ইন্টারনেট দুনিয়ায় ব্যাপক জনপ্রিয় এই চিকিৎসক।
ফেসবুক ও ইউটিউবে স্বাস্থ্যবিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শসহ ভিডিও পোস্ট করেন তিনি।
তার ফেসবুক পেজের ফলোয়ার সংখ্যা ৪ লাখ ৫৯ লাখ ছাড়িয়ে। তার ইউটিউব চ্যানেলের সাবসক্রাইবার সংখ্যা ২ লাখ ছুঁয়েছে।
বুধবার নিজের ফেসবুক পেজে ডা. জাহাঙ্গীর কবিরের দেয়া স্ট্যাটাসটি হুবহু দেয়া হলো, ‘আমি চেষ্টা করছি সহজভাবে আমার অর্জিত জ্ঞান আপনাদের মাঝে বিলিয়ে দিতে। আমি জানি আমাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয়া হবে এবং আমি মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত আর সবাইকেই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে । আমার ইউটিউব চ্যানেলটি থেকে যত পারুন ভিডিও ডাউনলোড করে রাখুন কারন এগুলো থেকে যাবে । আমি যতদিন বেঁচে আছি চেষ্টা করব বেশি বেশি ভিডিও বানিয়ে আপনাদের সচেতন করে যেতে যাতে আমার মৃত্যুর পরও আপনারা এটা ফলো করতে পারেন । ’
ডা. জাহাঙ্গীর লেখেন, ‘এটা বলে রাখি আমাকে থামানোর একটাই উপায় “মেরে ফেলা”। আমার বিরুদ্ধে যতই অপপ্রচার করুক না কেন আমি আমার কাজ করেই যাব । আর আপনাদের বলি, যারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা আরোপ করছে প্রতিটি পোস্টের স্ক্রীন শট রেখে দিন যাতে করে আমার মৃত্যুর পর আইনপ্রয়োগকারীদের হাতে তা তুলে দিতে পারেন । ’
হৃদরোগী ও কিডনি জটিলতায় ভোগা রোগীদের উদ্দেশে তিনি লেখেন, ‘আপনারা অন্ধ অনুসরণ করবেন না। জানুন, বুঝুন তারপর মন চাইলে মানুন। আর আবারও বলি হার্টের এবং প্রেসারের ওষুধ কার্ডিওলজিস্টের পরামর্শ ছাড়া বন্ধ করবেন না।যাদের ক্রিয়েটিনিন বেশি তারা নেফ্রোলোজিস্টের পরামর্শ মত চলবেন। না বুঝে নিজেকে বিপদে ফেলবেন না ।’
আমৃত্যু সবাইকে স্বাস্থ্যবিষয়ক সচেতনাসহ চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এই প্রতিশ্রুতিবান চিকিৎসক।
ফেসবুকে এমন স্ট্যাটাস দেয়ার পেছনের কারণ জানতে যোগাযোগ করতে চাইলে ফেসবুক পেজে দেয়া ডা. জাহাঙ্গীর কবিরের মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।