জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের বিশেষ উপদেষ্টা ববি হাজ্জাজকে বিদেশ ‘পাঠিয়ে দিয়েছে’ র্যাব।ববি হাজ্জাজকে বিদেশ ‘পাঠিয়ে দিল’ র্যাব
সোমবার বিকেলের ফ্লাইটে ববি ও তার পরিবারের তিন সদস্যকে যুক্তরাজ্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে একটি সূত্র সমকালকে জানিয়েছে।
তবে র্যাব দাবি করেছে, এ বিষয়ে তাদের কিছু জানা নেই।
জাতীয় পার্টির রিসার্চ ও স্ট্যাটেজি উইং’র প্রধান ববি হাজ্জাজ সম্প্রতি রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন। গত বৃহস্পতিবার এরশাদকে তার বারিধারা বাসভবন থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যায় র্যাব।
র্যাবের দাবি, অসুস্থ হয়ে পড়ায় সাবেক রাষ্ট্রপতিকে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হয়।
এরশাদ এর একদিন পর ববি হাজ্জাজের মারফত বার্তা পাঠান, “তিনি অসুস্থ নন, তাকে গ্রেফতারের জন্য সিএমএইচে আটকে রাখা হয়েছে।”
গত শনিবার সংবাদ সম্মেলনে এরশাদের বরাত দিয়ে একই কথা বলেন ববি হাজ্জাজ।
নিজেকে এরশাদের মুখপাত্র দাবি করে তিনি জানান, জাতীয় পার্টি নির্বাচনে নেই। সরকার জাতীয় পার্টিকে ‘জোর করে’ নির্বাচনে নেওয়ার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন ববি।
ওই সংবাদ সম্মেলনের আগে ববি হাজ্জাজকে কার্যালয়ে ডেকে নেয় র্যাব। রোববার সকালেও তাকে র্যাব কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে দুপুর পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়। র্যাব প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করে।
এর একদিন পর ববি হাজ্জাজকে বিদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হলো। তবে র্যাব বিদেশ পাঠানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
র্যাব’র আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার এটিএম হাবিবুর রহমান সমকালকে বলেন, “এ বিষয়ে র্যাবের কিছু জানা নেই।”
ববি হাজ্জাজ দেশে না বিদেশ তা-ও তারা জানেন না।
ববি হাজ্জাজের বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তার সহকর্মী ও জাতীয় পার্টির রিসার্চ অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক উইংয়ের উপদেষ্টা তারেক মোরতাজা।
তিনি সমকালকে বলেন, “বিকেল সোয়া ৫টায় ববি হাজ্জাজ এসএমএস দিয়ে জানিয়েছেন সপরিবারে তিনি যুক্তরাজ্যে চলে যাচ্ছেন।”
‘র্যাব’র চাপে’ ববি হাজ্জাজ বিদেশ গেছেন কি-না? এ বিষয়টি জানা নেই বলে জানান তারেক মোরতাজা।
উল্লেখ্য, ববি হাজ্জাজ যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী বাংলাদেশি ধনকুবের ও আওয়ামী লীগ নেতা শেখ সেলিমের বেয়াই মুসা বিন শমসেরের বড় ছেলে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে পড়াশুনা শেষে বাংলাদেশে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করছেন তিনি। গত বছর এরশাদের উপদেষ্টার কাজে যোগ দেন ববি হাজ্জাজ।