চাঁদপুর: চাঁদপুরে ইদানীং প্রচুর ইলিশ আনা হলেও বরফ সঙ্কট ও তার মূল্যবৃদ্ধির কারণে লবণ মেখে সেগুলো লোনা ইলিশে রূপান্তর করা হচ্ছে। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ইলিশ কম দামে বিক্রি করছে না। এদিকে মাছে লবণের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় এর দামও দ্বিগুণ হয়ে গেছে। চাঁদপুর মৎস্য আড়তে প্রতিদিন বিভিন্ন সাইজের হাজার-হাজার মণ ইলিশ আমদানি হয়ে থাকে।
দক্ষিণাঞ্চল থেকে ট্রলার ও ইঞ্জিনবোটে করে এসব মাছ আনা হয়। গভীর সমুদ্রে ইলিশে ব্যবহারের জন্য জেলেরা যে বরফ নিয়ে যায় তা পর্যাপ্ত না হওয়ায় মাছ পচে যায়। চাঁদপুরে মানসম্মত ইলিশ এলে তা মজুদ করা হয়।
হিমাগার মালিকরা প্রতি কেজি ইলিশ ৬০০-৭০০ টাকায় কিনে স্থানীয়দের কাছে বিক্রি না করে তা লোনা ইলিশে রূপান্তর করছেন। অতিরিক্ত ইলিশ চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার ব্যবসায়ীদের কাছে বেশি মূল্যে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন তারা। লবণ মেখে রূপান্তরিত করা লোনা ইলিশ ৫-৬ মাস পর ব্যবসায়ীরা চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ এলাকায় অধিক মূল্যে বিক্রি করেন।
ইলিশ বাজার ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের দখলে থাকায় স্থানীয় ক্রেতারা ইলিশ ক্রয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। মাছ সংরক্ষণে ব্যবহার হওয়ায় ২৫০ টাকার বরফ ৫০০-৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লোনা ইলিশ তৈরিতে লবণ ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় ২০ টাকা কেজির সাধারণ লবণ ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
শিরোনাম:
রবিবার , ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১৩ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।