কচুয়া: কচুয়ায় অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোর জহির (১৪) ও কিশোরী সুমি আক্তার (১৫)’র বিয়ে দিয়েছে স্থানীয় লোকজন। সোমবার মধ্যরাতে উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামে বাল্য বিয়ের এ ঘটনা ঘটে। মেয়ের পরিবার দাবি করছে অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে এ বিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
সরজমিনে জানা গেছে, উপজেলার কড়ইয়া ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের অধিবাসী নুরুল আমিনের পুত্র জহির হোসেন (১৪) সোমবার রাতে একই গ্রামের খামার বাড়িতে স্থানীয় যুবকদের উদ্যোগে পিকনিক অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে বাড়ি ফেরার পথে ওই গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে সুমি আক্তার (১৫) তাকে ফোন করে তাদের ঘরে নিয়ে যায়। এ সময় সুমির সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে সুমির চাচা আলী আক্কাস ও নবীর হোসেন জহিরকে আটক করে মারধর করে তার বাবাকে খবর দিয়ে জোরপূর্বক বিয়ের আয়োজন করে।
জহিরের পিতা নুরুল আমিন ও মাতা জাহানারা বেগম জানান, আমাদের ছেলে ওই দিন রাতে পিকনিক অনুষ্ঠানে গেলে পরিকল্পিতভাবে তাকে আটক করে মারধর করে বিয়ে পড়ানো হয়। কনে সুমি আক্তার জানায়, আমার পিতা-মাতা ঘটনার দিন বাড়িতে ছিলো না। জহিরের সাথে আমার গত ২ মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিলো। ঘটনার দিন রাতে জহির আমার কথায় আমার সাথে দেখা করতে আসলে আমার চাচা আলী আক্কাস আমাদের বিয়ের আয়োজন করেন।
এদিকে মেয়ের চাচা আলী আক্কাস জানান, সুমির চলাফেরা একটু উচ্ছৃঙ্খল বিধায় ওই দিন রাতে তাদের আটকের পর উভয়ের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী স্থানীয় মেম্বার হারুন-অর-রশিদসহ অন্যদের সহায়তায় বিয়ের আয়োজন করা হয়। এলাকাবাসী জানায়, স্থানীয় কাজী মনির বকাউলের নেতৃত্বে ডুমুরিয়া বেপারী বাড়ি মসজিদের ইমাম হোসাইন ৩ লাখ টাকার কাবিন করে এ বিয়ে সম্পন্ন করেন।
এ ব্যাপারে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়া আহমেদ সুমন জানান, অপ্রাপ্ত বয়সী কিশোর-কিশোরীর বিয়ে একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ক্ষেত্রে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।