মিজান লিটন
হাজীগঞ্জের বাকিলায় বাস চাপায় হোসেন খান (৭০) নামে এক বৃদ্ধের প্রাণ গেলো। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী প্রায় দেড় ঘণ্টা চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটে গতকাল সোমবার বিকেলে। নিহতের বাড়ি বাকিলা এলাকার দক্ষিণ সন্না খান বাড়ি। তিনি মৃত মুসলিম খাঁর ছেলে। নিহতের ৬ মেয়ে ও ২ ছেলে রয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় নিহতের জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
নিহতের ছেলে বাকিলা বাজারের ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন জানান, বাজার করার জন্যে বাবা বিকেল আনুমানিক ৩টার দিকে বাজারে আসেন। মাছ তরকারি কিনে দিলে আসরের নামাজ পড়ে তিনি সাড়ে ৪টার দিকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। কিছুক্ষণ পরেই লোক মাধ্যমে খরব পাই বাবা এক্সিডেন্ট করেছেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি এলাকাবাসী রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে আর বাবাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেছে। সাথে সাথেই চাঁদপুরে হাসপাতালে এলে চিকিৎসকরা অবস্থা ভালো নয় বিধায় ঢাকা রেফার করে দেন। এরপরই অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা যাওয়ার পথে মতলব ফেরিতে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে যান। পরে লাশ বাড়িতে নিয়ে আসি।
হোসেন খানের দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় মৃত সিরাজ বেপারীর ছেলে ইকবাল বেপারী জানান, হোসেন চাচার হাতে একটি বাজারের ব্যাগ ছিলো। বাড়ির সামনে এসে সড়ক পার হওয়ার সময় চাঁদপুর থেকে কুমিল্লাগামী বোগদাদ পরিবহনের একটি বাস তাকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এতে চাচার মাথা ও হাত থেতলে যায়। এরপরই স্থানীয়রা সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়।
প্রায় দেড় ঘণ্টা সড়ক অবরোধ শেষে সন্ধ্যা ৬টার দিকে বোগদাদ পরিবহনের লোকজন, স্থানীয় সালিস আর হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় বিষয়টি সঠিকভাবে সমাধানের আশ্বাস দিলে এলাকাবাসী অবরোধ তুলে নেয়। এরপর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ আলম জানান, নিহতের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশ ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফনের জন্য দিয়ে দেয়া হয়েছে। আসছে বুধবার বাকিলা ইউনিয়ন পরিষদে বসে এর সমাধান করা হবে বলে বাসের মালিক পক্ষের লোকজন জানিয়েছে। অপর এক প্রশ্নে এই কর্মকর্তা বলেন, প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিলো।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।