রফিকুর ইসলাম বাবু ॥
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে এক শিক্ষক ১যুগ ধরে স্ত্রী-সন্তানকে ঘরে বন্দি করে মানসিক নির্যাতন। স্থানীয় লোকজন তালা ভেঙ্গে স্ত্রী-সন্তানকে মুক্ত করে বাকিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান ইউসুফ পাটওয়ারীর কাছে নিয়ে আসে। পরে হাজীগঞ্জ পূর্ব বড়কুল ইউনিয়নের শিক্ষক মিজানুর রহমানকে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বিকেলে বাকিলা ইউনিয়নের স্বর্ণ গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আবু জাফরের বাড়িতে।
জানা যায়, চাঁদপুর হাজীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বড়কুল ইউনিয়নের দারোগা বাড়ির মিজানুর রহমান মাস্টার ১৩ বছর আগে রুনাকে পারিবারিক ভাবে বিয়ে করে। তার ঘরে মোহাম্মদ হোসেন নামে ১১ বছরের ছেলে রয়েছে। বিয়ের পর থেকে মিজানুর রহমান মাস্টার স্ত্রীকে সন্দেহ করে ঘরে তালা মেরে স্কুলসহ বিভিন্ন কাজে যেতো। সে হাজীগঞ্জ উপজেলার দ্বাদশ গ্রামের মালাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে। সে হাজীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া থাকতো। স্ত্রী রুনা বেগম জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় আমার স্বামী মিজানুর রহমান মাস্টার আমাকে ও ছেলেকে ঘরের ভিতরে রেখে তালা মেরে চলে যায়। বিকেলে ছেলে মোহাম্মদ হোসেন বিদ্যুাতে পৃষ্ঠ হলে আমার আত্যাচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আমাদের ঘরে তালা বন্ধ অবস্থায় দেখতে পায়। পরে লোকজন বাকিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান ইউসুফ পাটওয়ারীকে বিষয়টি অবগত করলে চেয়ারম্যান চৌকিদার পাঠিয়ে ঘরের তালা ভেঙ্গে স্ত্রী ও ছেলেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। মিজানুর রহমান মাস্টার খবরটি শুনে বাড়িতে ছুটে যান। বাকিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান ইউসুফ পাটওয়ারী রাতে মিজানুর রহমান মাস্টার, স্ত্রী ও ছেলেকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। মিজানুর রহমান মাস্টার জানায়, তার ছেলে মোহাম্মদ হোসেন এজমা জনিক রোগে আক্রান্ত। সেই জন্য ঘরে তালা বন্ধ করে রাখতে হয়।