স্টাফ রিপোর্টার ঃ
আগামী ৩১মার্চ অনুষ্ঠিতব্য চাঁদপুর সদর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে ৮নং বাগাদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভার দ্বিতীয় অধিবেশনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে সবোর্চ্চ ভোট পেয়ে ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. বেলায়েত হোসেন গাজী বিল্লাল।
গত ১৯ জানুয়ারী বর্ধিত সভায় বাগাদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৫১সদস্যদের মধ্যে প্রায় ৪০জন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। বেলা দুপুর ২টায় বাগাদী চৌরাস্তা জমিন টাওয়ারে দ্বিতীয় অধিবেশনে ইউনিয়ন আ’লীগের নেতৃবৃন্দ ও অতিথি ছাড়া সকলকে বের করে দেওয়া হয়।
সভা সূত্রে জানাযায়, দ্বিতীয় অধিবেশনে উপস্থিত ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ তাদের দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নে ব্যাপক আলোচনা শেষে তৃনমূল ভোটের সিদ্বান্তে সকলে মতামত দেন। উপস্থিত নেতাকর্মী ও প্রার্থীদের মতামতকে প্রাধন্ন দিয়ে অবশেষে উপজেলা আওয়ামী লীগে ভোটিং সিস্টেমে যায় বলে জানায়।
বর্ধিত সভায় উপস্থিত বাগাদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৫১সদস্যদের মধ্যে প্রায় ৪০ জন নেতাকর্মী ভোট প্রেয়োগ করেন।
তৃনমূল ভোটে জেলা যুলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. বেলায়েত হোসেন বিল্লাল গাজী পেয়েছেন ৩৩ ভোট, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোরশেদ আলম মিয়া পেয়েছেন ২ ভোট ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আলহাজ্ব ফারুক আহম্মেদ কাকন পেয়েছেন ১ ভোট। এছাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন নান্নু ও মানিক কোন ভোট পায়নি বলে জানাযায়। সভায় উপস্থিত বাকী ৪ ভোটার কারো পক্ষে মতামত দেয়নি বলে জানাযায়।
চাঁদপুর সদর উপজেলা ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা ঢাকা কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে।
৮নং বাগাদী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে দুই জন প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করে (১) জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব বেলায়েত হোসন গাজী বিল্লাল ও (২) ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আলহাজ্ব ফারুক আহমেদ কাকনের নাম পাঠানো হয়েছে। যদিও এখানে কেন্দ্রের নির্দেশনা ছিলো একজন করে প্রার্থীর নাম পাঠানোর কথা। কিন্তু সেখানে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোরশেদ আলম মিয়ার পরিবর্তে তৃতীয় অবস্থানে থাকা আলহাজ্ব ফারুক আহমেদ কাকনের নাম পাঠানো হয়েছে।
বাগাদীতে গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী আলহাজ্ব বেলায়েত হোসন গাজী বিল্লালের সাথে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আলহাজ্ব ফারুক আহমেদ কাকন প্রতিদ্ব›িদ্ধতা করায় বিএনপির প্রার্থীর সাথে মাত্র ১১ ভোটের ব্যাবধানে পরাজিত হয় বেলায়েত হোসেন বিল্লাল। সে সময় দলীয় কোন্দ্রলের ফলে মনোনয়ন দিয়েও গভীর ষড়যন্ত্র করে একটি পক্ষ আলহাজ্ব ফারুক আহমেদ কাকনকে বিদ্্েরাহী প্রার্থী হিসেবে দাড় করিয়ে রাখে। এবং নির্বাচনের দিনে স্থানীয় প্রশাসন দিয়ে বিল্লাল ও তার সমর্থকদের কেন্দ্রর আশে-পাশে ঘেষতে দেওয় হয়নি বলে সে সময় তারা অভিযোগ করেছিলেন। এমনকি দলীয় প্রার্থী হওয়া সত্ত্বেও কয়েকটি কেন্দ্র থেকে তার এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়েছিলো।
এবছরও সেই চক্রটি আবারো তার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বেলায়েত হোসেন বিল্লাল। তিনি বলেন, তৃনমূল ভোটে সবোর্চ্চ ভোট পাওয়ার পরেও কেন্দ্রের নির্দেশ উপেক্ষা করে আমার সাথে আরো নাম পাঠানো হয়েছে।
এদিকে খোখ-খবর নিয়ে যানাযায়, গত ২২ ফেব্রুয়ারী ঢাকায় কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নামের তালিকা পাঠানো পর থেকে শুরু হয় জোড়ালো তদবির। তৃনমূল ভোটে এগিয়ে থাকা প্রার্থীদের পরিবর্তে জনবিছিন্ন নেতাদের দলীয় টিকেট পাইয়ে দিতে একটি চক্র সেখানে বলে গভীর ষড়যন্ত্র করছে বলে জানিয়েছেন তৃনমূলে এগিয়ে থানা একাধীক প্রার্থীর সমর্থকরা। তবে তারা আশাবাদি জননেত্রী সব কিছু যাচাই-বাছই করেই চূড়ান্ত সিদান্ত নিবেন। নেত্রীর সিদান্ত কোন মতেই ভুল হতে পারে না।