আতাউর রহমান সোহাগঃ
বর্তমানে চাঁদপুরÑফরিদগঞ্জ-রায়পুর সড়কের প্রধান জনদুর্ভোগের নাম বাগাদীর বালিমহল। জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী বালি ব্যবসায়ীরা এবার তাদের নিজ স্বার্থে রাস্তার পাশে থাকা সরকারি গাছ নিধনে মেতে উঠেছে। এমনকি তাদের মহাপরিকল্পনা অনুসারে ইতোমধ্যে বালিমহল এলাকার রাস্তার পাশের সরকারি গাছও মরতে শুরু করেছে। অতীতেরমত মৃতগাছ গুলো যে কোন মহুর্তে রাস্তার পাশ থেকে উদাও হয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় আছে এমনি জানায় স্থানীয় লোকজন।
এদিকে সরকারি সম্পদ নষ্ট হলেও এ জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে রহস্যজনক কারণে নিরব ভূমিকা পালন করছে চাঁদপুর জেলার সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এই বালি ব্যবসায়ীদের খুঁটির জোর কোথায়? তাহলে কি তারা সরকারি প্রশাসনের চেয়েও শক্তিশালী। কেননা কয়েকবার জেলা আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সভায় বাগাদীতে রাস্তার পাশের এই বালি ব্যবসা বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হলেও বালি ব্যবসায়ীরা তা বন্ধ করে নি। বরং বালি ব্যবসার পরিধি আরো বাড়িয়েছে তারা। জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করে এ পর্যন্ত বালি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপও গ্রহন করে নি। এদিকে সরকারি গাছ বিনষ্ট কারীদের বিরুদ্ধে বন ও পরিবেশ অধিদপ্তর কি পদক্ষেপ নেয় তা দেখার অপেক্ষায় আছে জনসাধারন।
সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, বাগাদীর বালিমহলটি এই অঞ্চলের প্রধান সড়কের পাশে অবস্থিত। বালি মহলের পাশে দাঁড়ালে মনে হয় বালির পাহাড়ের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। এই বালির পাহাড় থেকে বাতাসে বালি উড়ে যানবাহনে যাতায়াতকারী যাত্রীদের চোখে মুখে পড়ে। যার ফলে প্রতিনিয়ত যাত্রীদের ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। পরিবেশও নষ্ট হয়।
বালি ব্যবসায়ীদের ট্রাক উঠানো নামানোর সুবিধার্থে তারা ওই এলাকার রাস্তার পাশে থাকা সরকারি গাছের উপর নানাভাবে নির্যাতন করছে। বালি ট্রলার থেকে পাইপের মাধ্যমে বালি মহলে রাখা হয়। এসময় পাইপের মাধ্যমে আসা পানি গাছের গোড়ায় জমিয়ে রাখা হয়। আবার গাছের গোড়া থেকে উপরের দিকে ৪/৫ ফিট বালি দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। গাছের উপর এ রকম অত্যাচারের ফলে গাছগুলো মরতে শুরু করেছে। স্থানীয়রা জানায় গাছ হত্যা করার এ কৌশলটি বালি ব্যবসায়ীরা সুপরিকল্পিত ভাবেই করেছে। বাগাদী লেবুতলা ব্রিজের পাশে একই সারিতে ৮ টি মৃত রেন্টি কড়ই গাছ দাঁড়িয়ে আছে। বাকি গাছগুলোও মরার প্রহর গুনছে। এদিকে চাঁদপুর-রায়পুর সড়কের দু‘পাশে লক্ষ্য করলে দেখা যায় রাস্তার পাশে বিভিন্ন স্থানে শুধু মাত্র শিশু গাছ গুলো মড়ক লেগে মারা যাচ্ছে। সড়কের কোথাও রেন্টি কড়ই গাছ মরার এরকম দৃশ্য দেখা যায়নি।
জনসাধারনের প্রত্যাশা এই গাছ হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে জেলার সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
শিরোনাম:
বুধবার , ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৭ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।