স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুর সদরের বাগাদী গ্রামে সম্পত্তিগত বিরোধ নিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, আনোয়ার হোসেন গাজী মজিদ গাজীর নিকট থেকে ১৬ শতক সম্পত্তি ক্রয় করে। মজিদ গাজীর নাতি মনির গাজী ঐ সম্পত্তি তাদের বলে দাবি করে আসে। এ নিয়ে এলাকায় সালিস বৈঠক হলে সালিসগণ কাগজপত্র দেখে আনোয়ার হোসেন গাজীর সম্পত্তি ক্রয় করার বিষয়টি নিশ্চিত হন এবং মনির গাজীদের সম্পদ নেই বলে জানান। পরবর্তীতে সম্পত্তি নিয়ে মামলা হলে মামলার রায়ে আনোয়ার হোসেন গাজীর সম্পত্তি বলে রায় প্রদান করা হয়। তারপরও মনির গাজী উল্টো আনোয়ার গাজীসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিভিন্নভাবে হয়রানি ও মানক্ষুণ� করার পাঁয়তারা করে আসছে।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য ইসহাক গাজী, আঃ বারেক গাজী, ব্যবসায়ী মোশারফ গাজী, আফজাল গাজী, মোতালেব গাজী, বাশার গাজী ও সিরাজ গাজী জানান, মনির গাজীর দাদা মজিদ গাজীর নিকট থেকে আনোয়ার গাজী ১৬ শতক সম্পত্তি ক্রয় করেন। আমরা কাগজপত্রে তা দেখেছি এবং সঠিক সম্পত্তি নিয়ে কয়েকবার এলাকায় সালিসে বসলেও মনির গাজী তা মানতে চাননি। আদালতের রায়েও আনোয়ার গাজী সম্পত্তি পান। সে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে উল্টো হয়রানিসহ তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালায়। যেমন : বাগাদী গ্রামের সন্তান ন্যাশনাল মানবাধিকার অপরাধ দমন সাংবাদিক সোসাইটির কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী গাজী আফজালের বিরুদ্ধে মনির গাজী বিভিন্ন অপপ্রচার করে তার মান ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করে আসছে। সে একের পর এক এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের হয়রানি ও মান ক্ষুণ্ন করে। এটা একটা জঘন্য অপরাধ। এলাকার সচেতন মানুষ জানান, মনির একটি কুচক্রী মহলের সহযোগিতায় মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের পরামর্শে অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে।
একটি সূত্র জানায়, বাগাদী গ্রাম ইদানিং মাদক ও জুয়ায় ছেয়ে গেছে। একটি মহল মাদক ও জুয়াড়িদের সাথে আঁতাত করে এলাকায় অপরাধ প্রবণতায় সহযোগিতা করে যাচ্ছে।