শাহারিয়ার খান কৌশিক ॥
চাঁদপুর সদর উপজেলার ৮নং বাগাদী ইউনিয়নের গাছতলা পীর সাহেবের বাড়ির সামনে চাঁদপুর রায়পুর সড়কে সড়ক দূঘটর্নায় আর.এফ.এল কোম্পানীর কর্মচারী আঃ গফুর (২৯) ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেল ৫টায় চাঁদপুর থেকে মটরসাইকেল যোগে যাওয়ার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে পিলারের সাথে সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারায় আঃ গফুর। এসময় তার সাথে থাকা চাঁদপুর সরকারি কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মুনতাসির (২৬) গুরুত্বর আহত হয়। আহত অবস্থায় স্থানীয় তাকে দ্রুত চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার আঃ গফুরকে মৃত ঘোষনা করেন। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, যশোর জেলার নজরুল ইসলামের ছেলে আঃ গফুর দীর্ঘদিন যাবত আর.এফ.এল কোম্পানীর কর্মচারী হিসেবে চাঁদপুরে চাকরী করে আসছিল। সে শহরের বিপনীবাগে চাঁদপুর সরকারি কলেজের কয়েকজন ছাত্রের সাথে ফ্লাট বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। ১৫ দিন পূর্বে আর.এফ.এল কোম্পানি থেকে নতুন মটরসাইকেল টি থাকে দেওয়ার পর আঃ গফুর আউটার ষ্টেডিয়ামে চালানো শিখে। ঘটনার দিন বিকেলে সরকারি কলেজের ছাত্র মতলব দক্ষিন আরোঙ্গ বাজারে জয়নাল আবেদীনের ছেলে মুনতাসির কে সাথে নিয়ে মটর সাইকেল যোগে ফরিদগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। সে বেপরোয়া গতিতে মটরসাইকেলটি নিয়ে যাওয়ার সময় মোড় ঘুরতে গিয়ে পীর সাহেবের বাড়ির সামনে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে সড়ক ও জনপদের রাস্তার পাশে বসানো পিলারের সাথে স্বজরে ধাক্কা লাগে। এসময় ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। আহত অবস্থায় মুনতাসির রাস্তার পাশে পরে তাকে। নানীপুর দশআনি মিজি বাড়ির অজিউল্ল্যাহ মিজির ছেলে ফারুক তার অটোরিক্সা দিয়ে নিহত আঃ গফুর ও আহত মুনতাছির কে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার আঃ গফুরকে মৃত ঘোষনা করার পর তার একই কোম্পানীর সহকর্মীরা হাসপাতালে এসে ভিড় জমায়। খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এইচ.এম এনায়েন উদ্দিন পি.পি.এম এর নির্দেশে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত হন। এদিকে নিহত আঃ গফুরকে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার স্বজনরা চাঁদপুরে এসে তাকে নিয়ে যাওয়ার সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করে।