মুসলিম সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব ঈদুল আযহার (কোরবানির ঈদ) আর মাত্র তিন দিন বাকি। এরই মধ্যে জমে উঠেছে সদর উপজেলার বাগাদী চৌরাস্তা বাজারে সর্ববৃহৎ গরু ছাগলের হাট।
প্রতি বছরই কোরবানির গরু ছাগল ক্রয়ে চাঁদপুর শহরবাসি ও সদর উপজেলার একটি বৃহৎসংখ্যক মানুষের ঢল নামে এই বাজারে। এবারেও এর ব্যতিক্রম নয়। এরই মধ্যে এ বাজারে শুধু ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রায় শতাধিক ব্যাপারী হাজারেরও অধিক পরিমার গরু এনেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন জেলা থেকেও এসেছে আরো বেসকিছু গরু। যদিও চাঁদপুরের স্থানীয় গরু ব্যবসায়ীরা এখনো আসেননি। তবে ইজারাদাররা আশা করছেন আজ ও আগামী কালের মধ্যে চাঁদপুরের স্থানী ব্যবসায়ীরা তাদের গরু নিয়ে বাজারে আসবেন।
গতকাল বুধবার বাজার ঘুরে দেখা যায়, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর গরুর আমদানি হয়েছে তুলনামুলক হারে বেশি। এর মধ্যে দেশীয় গরুর সংখ্যাই বেশি। তবে দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে ভিন্নমত। একদিকে ক্রেতারা বলছেন এবার গরুর দাম কিছুটা বেশি। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন কম। দামে কম বেশি যাই হোক গরুর বাজারে বিপুল পরিমান ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ করা গেছে। কয়েকজন ক্রেতার সাথে আলাপ করে জানা যায় এসব ক্রেতাদের মধ্যে অধিকাংশই কিনতে নয়, এসেছেন দেখতে। ক্রেতাদের সাথে সুর মিলিয়ে বিক্রেতারাও বলছেন মূলত গরু কেনা বেছা শুরু হবে শুক্রুবার থেকে।
এখন পর্যন্ত এই বাজারের সেরা গরুটির দাম হাকানো হয়েছে দুই লক্ষ টাকা। যার সাথে একটি খাসি ছাগল ফ্রি। এরই মধ্যে গরুটির দাম উঠেছে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা। বিগত ৬ বছর ধরে এই বাজারে আসা গরুর মালিক ওলিয়ার খান জানান, ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা হলে তিনি গরুটি বিক্রি করবেন। বাজারের সেরা এই গরুটি দেখতে রিতিমত ভিড় জমে যায়। এছাড়াও এবার চৌরাস্তা বাজারে এমন বহু সংখ্যক গরু আনা হয়েছে, যার অধিকাংশরই দাম হাকানো হচ্ছে লাখ টাকার অধিক। বাজারে এবার ছোট গরুর সংখ্যা এখন পর্যন্ত অনেকটাই কম।
এদিকে ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য ইজারাদারদের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যাবস্থা। এছাড়া রয়েছে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। সবমিলে বাগাদী চৌরাস্তা বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারনায় বেস ভালোই জমে উঠতে শুরু করেছে বিশালাকার এই গরু-ছাগলের হাট।
শিরোনাম:
শনিবার , ২৬ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১৩ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।