পবিত্র ঈদ-উল আযহার আর মাত্র তিন দিন বাকি থাকলেও ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৩৪টি কোরবানির পশুর হাটে। বিপুল সংখ্যক পশু অবস্থান করলেও বিক্রি নেই। উপজেলা সদরস্থ পৌরসভা মাঠে সোমবার দিন একটি গরুও বিক্রি হয় নি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তবে কিছু লোক এসে মূল্য যাচাই-বাছাই করছেন। এদিকে এখন পর্যন্ত হাটে ভারতীয় গরু তেমন একটা দেখা না গেলেও শেষ মুহূর্তে হাটে চলে আসলে দাম পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন বিক্রেতারা। এছাড়া স্থানীয় বিক্রেতারাও এখনো হাটে তাদের গরু ছাগল নিয়ে আসেন নি। ফলে হাটে এখনো পশুর দাম আকাশছোঁয়া।
জানা গেছে, এ বছর উপজেলা সদরসহ মোট ৩৪টি স্থানে কোরবানির পশুর হাটের জন্যে ইজারা দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে পৌরসভা মাঠ, রূপসা বাজার, কালিরবাজার, গৃদকালিন্দিয়া, চান্দ্রা বাজারসহ বেশ কয়েক বড় বাজারে ব্যাপক সংখ্যক পশু বিক্রি হয়। সপ্তাহ পূর্ব থেকে এসব বাজারে ফরিদপুর, শরীয়তপুর, মাগুরাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গরুর বেপারীরা গরু নিয়ে এসে হাটে অবস্থান করছে। তবে মঙ্গলবার পর্যন্ত তারা দৃশ্যমান কোনো পশু বিক্রি করতে পারে নি।
ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার গরু ব্যবসায়ী আবুল খায়ের জানান, তিনিসহ প্রায় ত্রিশজন গরু ব্যবসায়ী ট্রাকযোগে দুই থেকে আড়াই হাজার গরু এনেছেন। এগুলো উপজেলার বিভিন্ন বাজারে রয়েছে। একই এলাকার গরু ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মোল্লা বর্তমানে কালিরবাজারে হাটে অবস্থান করছেন। তিনি জানান, এক সপ্তাহ কেটে গেলেও এ যাবৎ একটি গরু বিক্রি হয় নি। আজিজ মোল্লা, লিটন মাস্টার, ওবায়দুল মোল্লা, আহাম্মদ, আহাদসহ বেশ ক’জন গরু ব্যবসায়ী জানান, এ সময় বিগত বছরে আমরা প্রায় অর্ধেক গরু বিক্রি করে টাকা পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। এ বছর এতে ধস নেমেছে। বাজারে আসা ক্রেতারা আমাদের ক্রয় মূল্য থেকে ২০/২৫ হাজার টাকা কমে দরদাম করছে। ফলে তারা মূলধন হারানোর আতঙ্কে রয়েছে।
এ দিকে পর্যাপ্ত গরু হাটে থাকায় এবং স্থানীয় গরু ব্যবসায়ীরা এখনো বাজারে তাদের পশু হাটে না তোলেনি। তবে শেষ মুহূর্তে এগুলো মাঠে আসবে ফলে দাম ক্রয়সীমার মধ্যে থাকার আশা করছেন ইজারাদাররা।
শিরোনাম:
বুধবার , ১৭ আগস্ট, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ , ২ ভাদ্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।