এম এ আকিব ॥
চাঁদপুরের ইজিবাইক গ্যারেজ গুলোয় ব্যবহার হচ্ছে অবৈধ বিদ্যুত। অধিকাংশ গ্যারেজেই বাণিজ্যিক লাইনের আড়ালে ব্যবহার হচ্ছে আবাসিক লাইন। শহর-গ্রাম সবত্রই ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে অবৈধ ইজিবাইক চার্জের গ্যারেজ। কোন অনুমোদন ছাড়াই এসব গ্যারেজের মালিকরা দিব্বি চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ বিদ্যুত ব্যবহার। এছাড়াও এসব গ্যারেজে ব্যবহৃত বিদ্যুতের অধিকাংশ লাইন’ই অবৈধ। এর ফলে একদিকে দেখা দিচ্ছে বিদ্যুত ঘার্তি। অন্যদিকে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমানে অর্থ। এমন দৃশ্য এখন শুধু শহরেই নয় গ্রামগঞ্জেও দেখা যাচ্ছে। সর্বপরি চলছে বিদ্যুত চুরির মহোৎসব। এক শ্রেণীর প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অধিক লাভের আশায় বিদ্যুতের অসাধু কিছু কর্মচারিদের ম্যানেজ করে এসব গ্যারেজে অবৈধ বিদ্যুত সংযোগ নিয়েছে। বিদ্যুতের অসাধু কর্মচারিদের যোগসাযোগ থাকায় এসব গ্যারেজ মালিকরা থেকে যাচ্ছে অধরা। এ বিষয়ে জরুরী ভিত্তিতে অভিযান চালানো প্রয়োজন বলে মনে করেন সচেতন মহল। এক পরিসংখ্যানে জনা যায়, চাঁদপুর পৌরসভা ইজিবাইক পরিবন মালিক সমিতির আওতাধিন শুধু চাঁদপুর সহরেই রয়েছে ৫৩০টি ইজিবাইক। শহরতলির আশপাশ থেকে প্রতিদিন আরো প্রায় শতাধিক ইজিবাইক চাঁদপুর শহরে প্রবেশ করে থাকে। এছাড়াও জেলা সদরে সম পরিমান আরো ইজিবাইক ররেয়ছে, যার কোন বৈধ হিসাব নেই। এ বিষয়ে চাঁদপুর পৌরসভা ইজিবাইক পরিবহন মালিক সমবায় সমিতি লিঃ এর সাধারণ সম্পাদক ফজলুল কাদের চৌধুরীর সাথে আলাপকালে জানা যায়, চাঁদপুর শহরে চলাচলকৃত অটোবাইকগুলি চার্জের জন্য বাণিজ্যিকভাবে ২৫-৩০টি গ্যারেজ রয়েছে। এসব গ্যারেজে গড়ে ৮-১০টি অটোবাইক রাখা ও চার্জ দেয়া হয়। এ ছাড়াও যাদের নিজস্ব মালিকানাধীন দু’একটি অটোবাইক রয়েছে তারা নিজবাড়ি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রেখে চার্জ দিয়ে থাকেন। তবে বিদ্যুত চুরি ও অবৈধ বিদ্যুত সংযোগের বিষয়টি নাখচ করে দিয়ে তিনি বলেন, চাঁদপুর পৌরসভা ইজিবাইক পরিবহন মালিক সমবায় সমিতি লিঃ এর প থেকে আমরা নিয়মিত মনিটরিং করে থাকি। ফলে এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন।