নৌবিহারে চাঁদপুরের মতলব উত্তরের মোহনপুরে এসে দুপুরে জনগণের উদ্দেশে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বলেছেন, ‘২৪ বছরের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা এনেছি। এর সুফল বয়ে আনতেই হবে। মুজিব আদর্শের সকল সৈনিককে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এ দেশের মানুষের জন্য আমার স্বজনেরা জীবন উত্সর্গ করেছেন। প্রয়োজনে বাবার মতো রক্ত দিয়ে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করব।’
নৌবিহারে চাঁদপুরের মতলব উত্তরের মোহনপুরে এসে দুপুরে জনগণের উদ্দেশে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে সকালে রাজধানীর সদরঘাটে চাঁদপুর হয়ে ঢাকা-বরিশাল নৌপথে যাত্রীবাহী জাহাজ এমভি বাঙালির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী ৭৫০ জন যাত্রী ধারণক্ষমতাসম্পন্ন এই জাহাজে করে চাঁদপুরের মোহনপুর পর্যন্ত ভ্রমণ করেন। এর পরই মোহনপুরে তিনি বক্তব্যে দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নস্যাত্ করতে স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনো তত্পর রয়েছে। এরা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে। যুদ্ধাপরাধীদের হাতে পতাকা তুলে দিয়েছে। তাদের সবারই বিচার হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার চেতনা বুকে লালন করে সবাইকে কাজ করতে হবে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার আমলে আমরা অনেক উন্নয়ন করেছি। যেন বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়। ইনশাআল্লাহ ইতিমধ্যে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যে গৃহহারা মানুষকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি। আমাদের আমলে, উপবৃত্তি, বিধবা-ভাতা, প্রতিবন্ধী-ভাতা দেওয়া শুরু করেছি। বিদ্যুত্ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগে নৌপথের অবস্থা বিপন্ন ছিল। আমরা ক্ষমতায় এসে তার ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। নতুন নতুন যানবাহন চালু করেছি। আজকের এ স্টিমার তারই একটি। বাংলাদেশ কীভাবে উন্নত ও সমৃদ্ধ হয় সে চেষ্টা করা হচ্ছে।’
এ সময় ত্রাণ ও দুর্যোগ-ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামছুল হক ভূঁইয়াসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।